অচাষকৃত খাদ্য ও উদ্ভিদ বৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং পুষ্টি সচেতনতায় সাতক্ষীরার শ্যামনগরে কুড়ানো শাকের গ্রামীণ পাড়া মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) উপজেলার কালমেঘা গ্রামে অনুষ্ঠিত এ মেলায় ২০ জন গ্রামীণ নারী ১৩০ ধরনের অচাষকৃত উদ্ভিদ প্রদর্শন করেন।
কালমেঘা কৃষি নারী সংগঠনের সহায়তায় বেসরকারি গবেষণা সংস্থা বারসিক আয়োজিত এই মেলায় এককভাবে ১৩০ জাতের উদ্ভিদ প্রদর্শন করে প্রথম হন শিক্ষার্থী ইন্দ্রা গায়েন। ১১৮ জাতের উদ্ভিদ প্রদর্শন করে ২য় হন শিক্ষার্থী ফাল্গুনী মন্ডল এবং ১১৪ জাতের উদ্ভিদ প্রদর্শন করে ৩য় হন কৃষাণী অদিতী রানী।
মেলায় উদ্ভিদ বৈচিত্র্যের গুণাবলী, ব্যবহার, কোন মৌসুমে বেশি পাওয়া যায়, কোনটি খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়, কোনটি মানুষ ও প্রাণীর ঔষধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়- তা তুলে ধরেন অংশগ্রহণকারীরা।
মেলায় অংশগ্রহণকারীরা জানান, উপকূলীয় এলাকার মানুষকে প্রতিনিয়ত নানা দুর্যোগ মোকাবেলা করে টিকে থাকতে হয়। দুর্যোগের ফলে এলাকা থেকে নানা ধরনের উদ্ভিদ বৈচিত্র্য বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে এগুলোর ব্যবহার কমে যাচ্ছে। নতুন প্রজন্মের মাঝে এসব উদ্ভিদ বৈচিত্র্যের গুণাগুণ তুলে ধরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মেলায় কালমেঘা ও চিংড়াখালী গ্রামের কৃষক-কৃষাণী, শিক্ষক- শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা ছাড়াও বারসিক এবং ডিয়াকোনিয়া সুইডেন ও বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
খুলনা গেজেট/ এসজেড