খুলনা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির ফেব্রুয়ারি মাসের সভা আজ (রবিবার) সকালে জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে তাঁর সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সিভিল সার্জন ডাঃ সুজাত আহমেদ জানান, করোনা ভ্যাকসিনের চতুর্থ ডোজ প্রদানের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ পর্যন্ত জেলায় ৬০ হাজার ৪৩১ জন চতুর্থ ডোজের টিকা গ্রহণ করেছেন। তবে এ ক্ষেত্রে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে আরো প্রচারণা চালানো প্রয়োজন। এছাড়া নিপা ভাইরাস থেকে দূরে থাকতে খেঁজুর গাছ থেকে সংগৃহীত রস কাঁচা অবস্থায় খাওয়া যাবে না এবং পাখি বা বাদুড়ে খাওয়া যে কোন ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল জানান, প্রাকৃতিক জলাশয়ে ক্ষতিকর জাল ব্যবহার করে মাছ আহরণ না করতে মৎস্যজীবীদের সচেতন করা হচ্ছে। রপ্তানিযোগ্য চিংড়িতে অপদ্রব্য মেশানো প্রতিরোধের অংশ হিসেবে জেলায় বিগত জানুয়ারি মাসে পাঁচটি মোবাইল কোর্ট ও ১৫টি অভিযান পরিচালনা করে ৪৫৬ কেজি অপদ্রব্য মেশানো ক্ষতিকর চিংড়ি ধ্বংস করা হয়। এসময় অভিযুক্ত মোট ১৩ জনের কাছ থেকে দুই লাখ ৫৭ হাজার ৫০০টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, খুলনা জেলায় অনাবাদি পতিত জমি আছে ১০ হাজার ৯৭৫ হেক্টর এর মধ্যে ১৩ শতাংশ জমিকে নতুন করে চাষের আওতায় আনা হয়েছে। চলমান বোরো মৌসুমে জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আবাদ হয়েছে। খুলনা জেলায় ৭০ হাজারের বেশি কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে দুই হাজার কৃষকের মাঝে পাটবীজ বিতরণ করা হবে।
সভাপতির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক বলেন, উপকূলীয় এলাকায় কৃষির সুরক্ষার জন্য জমিতে নদীর লবণ পানি প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সরকারের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমগুলো যথাসময়ে সম্পন্ন করার চেষ্টা করতে হবে। সরকারি সকল দপ্তরের মধ্যে কাজের ক্ষেত্রে সমন্বয় থাকতে হবে।
সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোঃ ইউসুপ আলী, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এমএম মাহমুদুর রহমান, বিভিন্ন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/ এসজেড