মঙ্গলবার । ১৮ই নভেম্বর, ২০২৫ । ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

সাতক্ষীরায় চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করার অপরাধে তিন ব্যবসায়ীকে জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

 

সাতক্ষীরায় চিংড়িতে অপদ্রব্য মিশ্রনকারি ৩ অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে র‌্যাব সদস্যরা। রোববার (১ জানুয়ারি) সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার মহিষকুড় বাজার এলাকায় এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়।

র‌্যাবের ভ্রাম্যমান আদালতে অর্থদণ্ড প্রাপ্ত তিন মাছ ব্যবসায়ী হলেন, সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার মহিষকুড় এলাকার এহায়িয়া মোল্লার ছেলে আল-মামুন, মৃত আছের সরদারের ছেলে মোঃ শাহজাহান ও মদন মোহন এর ছেলে রাকেশ মন্ডল।

র‌্যাব সূত্র জানায়, চিংড়িতে অপদ্রব্য মেশানো হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আশাশুনি উপজেলা মৎস্য অফিসারের সমন্বয়ে র‌্যাব-৬, সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল বেলা ১টার দিকে উপজেলার মহিষকুড় বাজার এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

এসময় অবৈধভাবে চিংড়ি মাছের ভিতর বিষাক্ত কেমিক্যাল ও অপদ্রব্য জেলি পুশ করা অবস্থায় অসাধু ৩ ব্যবসায়ীকে হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোট পরিচালনা করে, মৎস্য পণ্য বিধিমালা ১৯৯৭ এর বিধি ৪(৪) ধারা লংঘন করায় উল্লিখিত তিন ব্যবসায়ীকে দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় ২০০ কেজি চিংড়ি মাছ, বিষাক্ত জেলি ৮০ কেজি ও ৬০টি সিরিঞ্জ উদ্ধার পূর্বক ধ্বংস করা হয়।

ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক জরিমানাকৃত অর্থ তাৎক্ষনিক ভাবে সেচ্ছায় পরিশোধ করে দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির। বিধি মোতাবেক জরিমানার অর্থ সরকারী কোষাগারে জমা প্রদান করা হয়।

র‌্যাব সূত্র আরও জানায়, খুলনাঞ্চল চিংড়ির জন্য খুবই বিখ্যাত। জিআই পণ্য চিংড়ি বাংলাদেশের হোয়াইট গোল্ড হিসেবে বিশ্বে পরিচিত। খুলনা হতে চিংড়ি দেশের নানা প্রান্তে সরবরাহ করা হয় এবং বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা অতিশয় মুনাফার লোভে মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর অপদ্রব্য পুশ করে চিংড়ির ওজন বৃদ্ধি করে আসছে ও ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে চিংড়ির রং আকর্ষনীয় করছে।

খুলনা গেজেট/   এসজেড




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন