ঝিনাইদহে বিএনপি ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৬ জন আহত হয়েছে। ভাংচুর করা হয়েছে জেলা বিএনপি পার্টি অফিস ও একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আজ (৭ নভেম্বর) সোমবার দুপুরে শহরের পুরাতন ডিসি কোর্ট এলাকাজুড়ে এ ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক সুত্র জানায়, আজ দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস উপলক্ষে সরকারি কেসি কলেজ থেকে জেলা ছাত্রলীগ একটি মিছিল বের করে । অপরদিকে ঝিনাইদহ জেলা ষ্টেডিয়াম চত্বরে বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন উপলক্ষে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকে।
ছাত্রলীগের মিছিলটি শহরের পুরাতন ডিসি কোর্টের সামনে পৌঁছালে অপর দিক থেকে আসা বিএনপি’র মিছিলের নেতাকর্মীদের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে শুরু হয় ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষ। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শহরে পোস্ট অফিস মোড়ে অবস্থান করে । পরে পুলিশ উভয় পক্ষকে সরিয়ে দেয়।
বিএনপি শহরের মর্ডান মোড়ে গেলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠি চার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. এম এ মজিদ বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ প্রোগ্রাম করছিলাম। সেখানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। ছাত্রলীগ আমাদের জেলা বিএনপি পার্টি অফিস ভাংচুর করে ।
ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আল ইমরান জানান, বিএনপির মিছিল থেকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তি করা হয়। সেসময় ছাত্রলীগ সেটাকে প্রতিহত করার একপর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবুল বাশার বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই