যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কুকুর হত্যার অভিযোগে প্রধান রেজিস্ট্রারসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। সোমবার পিপল ফর এনিম্যাল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সদস্য যশোর শহরের ষষ্টিতলা বিপি রোডের পরিবেশবাদী সওগাত কামাল বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারক আরমান হোসেন অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। বিয়ষটি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী মাহমুদ হাসান বুলু।
অভিযুক্তরা হলেন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান রেজিস্ট্রার ইঞ্জিনিয়ার আহসান হাবীব, স্টেট এবং নিরাপত্তা শাখার এসএম হাসান আলী, প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মুন্সি ও চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার রাধিকাগঞ্জ গ্রামের আলম মিয়ার ছেলে জাকির মিয়া।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. আনোয়ার হোসেন, প্রধান রেজিস্টার আহসান হাবীবের নির্দেশ ও পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ক্যাম্পাসে কুকুর হত্যার সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী চুয়াডাঙ্গা থেকে জাকির মিয়াসহ আরও দু’জনকে দুই হাজার টাকায় হত্যাকারী হিসেবে চুক্তি করা হয়।
গত ২৮ স্টেপ্টেম্বর সকালে ইঞ্জিনিয়ার আহসান হাবীবের নির্দেশে অপর আসামিরা ক্যাম্পাসের ১৮টি কুকুর ধরে ইনজেকশনের মাধ্যমের বিষ প্রয়োগে হত্যা করে। এরপর মৃত কুকুরগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্জ ব্যবস্থাপনার ভ্যানে উঠিয়ে একাডেমিক ভবনের পেছনে গর্ত করে পুতে রাখা হয়।
ক্যাম্পাসে কুকুর হত্যার বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার ঝড় ওঠে। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতরে অভিযোগ দিলে তারা গ্রহণ না করায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।