নেদারল্যান্ডসের সামনে খুব বড় লক্ষ্য দাঁড় করাতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে লড়াকু এই পুঁজিতে যেমন হওয়া দরকার ছিল, তাসকিন আহমেদ ঠিক তেমনই এক সূচনা এনে দিয়েছেন বাংলাদেশকে। প্রথম দুই বলেই তুলে নিয়েছেন দুই উইকেট। এরপর সাকিবের ওভারে দুই রান আউট। সব মিলিয়ে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে নেদারল্যান্ডস।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নেদারল্যান্ডসের সংগ্রহ ৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭ রান।
ইনিংসের প্রথম বলেই বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দিলেন তাসকিন আহমেদ। নেদারল্যান্ডস ওপেনার বিক্রমজিৎ সিংয়ের ব্যাটে লেগে বল যায় ইয়াসির আলী রাব্বির হাতে। নিচু ক্যাচ হওয়ায় আম্পায়ার রিভিউ দেখে সিদ্ধান্ত জানান। পরের বলে বাস ডি লিডকে পেছনে নুরুল হাসান সোহানের ক্যাচ বানান ডানহাতি পেসার। ওই ওভারে মাত্র ৩ রান দেন তাসকিন।
এর আগে বাংলাদেশ দলের দুই ওপেনারের বিদায়ের পর এলোমেলো হতে থাকে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। তবে মিডল অর্ডারে আফিফের ধৈর্যশীল ব্যাটিং আর মোসাদ্দেকের ঝড়ে শেষ পর্যন্ত নেদারল্যান্ডসকে ১৪৫ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ দল। নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান তুলে টাইগাররা।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) হোবার্টে টসে জিতেই বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নেদ্যারল্যান্ডস অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। টস হেরে ব্যাট করতে নামেন সৌম্য সকরকার ও নামজুল হোসেন শান্ত। সৌম্য ১০০ স্ট্রাইক রেটে রান তুললেও ওপরপ্রান্তে শান্ত হাত খুলেই খেলেন। তবে পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগে ভান মেকেরিনের বুক বরাবর করা বাউন্সের গতি বুঝতে না পেরে ক্যাচ তুলে দেন সৌম্য।
১৪ বলে ১৪ রানে তিনি ফিরলে পরের ওভারে পঞ্চম স্টাম্প থেকে টিম প্রিঙ্গেলকে স্লগ সুইপ করতে ক্যাচ আউট হন শান্তও। ২০ বলে ২৫ রান করে আউট হন এই ওপেনার। দুই ওপেনারকে হারিয়ে বসার ধাক্কা সামাল দিতে পারেননি সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস।
১১ বলে ৯ রান করে ভ্যান বিককে মারতে গিয়ে ৩০ গজের ভেতর তালুবন্দি হন লিটন। খানিক পর শালিজ আহমেদকে স্লগ করতে গিয়ে বাউন্ডারিতে তালুবন্দি হন সাকিবও। দশম ওভারে আফিফ হাঁকান ইনিংসের প্রথম ছক্কা। মেকেরিনের বলের লাইন বুঝতে না পেরে বোল্ড হন ইয়াসির। এরপর আফিফকে সঙ্গ দিতে নামে নুরুল হাসান। দুজন মিলে ধাক্কা সামাল দিয়ে দলকে নিয়ে যান শতরানের ওপর।
তাদের ব্যাটে বাংলাদেশ আরও যোগ করে ৪৪ রান। তবে ১৮তম ওভারে বাস ডি লিডকে পেছনে খেলতে গিয়ে আউট হন সোহান। দলীয় ১২০ রানে ক্রিজে নেমে জোড়া বাউন্ডারি হাঁকান মোসাদ্দেক। কিন্তু ওভারের শেষ বলে আফিফকেও উইকেটের পেছনে আউট করেন লিড। ২৭ বলে ৩৮ রান করে আউট হন এই ব্যাটার। শেষ ১২ বলে বাংলাদেশের সুযোগ ছিল দেড়শ’র ঘরে পা দেয়ার। কিন্তু লোয়ার অর্ডারে নেমে তাসকিন দ্রুত রান তুলতে গিয়ে আউট হন ফ্রেড ক্লাসেনের বলে।
শুন্য রানে তিনি ফিরলে পরের ৩ বলে আসেনি কোনো রান। শেষ ওভারের শুরুর ২ বলে কোন রান নেননি মোসাদ্দেক। কিন্তু তৃতীয় বলে তার ছক্কায় বাংলাদেশ পৌছায় ১৪০’র ঘরে। শেষ ৩ বলে একবার জীবন পেয়ে এই ব্যাটার আরও যোগ করেন ৪ রান। বাংলাদেশ পায় ১৪৪ রানের পুঁজি। মোসাদ্দেক অপরাজিত থাকেন ২০ রানে।