দক্ষিণাঞ্চলের ৮টি জেলায় বিদ্যুৎ ঘাটতি নেই। মঙ্গলবার রাতে বুধবার (২০ জুলাই) এর লোডশেডিংয়ের সিডিউল প্রকাশ করেছে ওজোপাডিকো। সিডিউলে ১৩ জেলার তথ্য দেওয়া হয়েছে। বাকী ৮ জেলায় বিদ্যুতের ঘাটতি না থাকায় লোডশেডিংয়ের সূচি করা হয়নি। পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ এই জেলাগুলোতে সরবরাহ করার কারণে ৮ জেলায় বিদ্যুতের ঘাটতি থাকছে না।
ওজোপাডিকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আজহারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৮টি জেলা হচ্ছে- বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, ঝালকাঠি, বরগুনা, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর ও মাদারীপুর।
ওজোপাডিকো সূত্রে জানা গেছে, ওজোপাডিকো দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলা শহর ও ২০টি উপজেলায় বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
২১ টি জেলা শহর হচ্ছে- খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, নড়াইল, যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, বরিশাল, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, পিরোজপুর।
এছাড়া ২০টি উপজেলা হচ্ছে- ফুলতলা, মংলা, কালিগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, মহেশপুর, শৈলকুপা, আলমডাঙ্গা, ভেড়ামারা ও কুমারখালী। এছাড়া পাংশা, গোয়ালন্দ, মধুখালী, সদরপুর ও ভাঙ্গা। আর বরিশাল বিভাগের ভান্ডারিয়া, বোরহানউদ্দিন, নলসিটি, কাঁঠালিয়া, চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলা।
এই ২১ জেলায় তাদের গ্রাহক রয়েছে প্রায় ১৪ লাখ ২৮ হাজার। এরমধ্যে খুলনায় গ্রাহক আছে প্রায় ২ লাখ ৪৫ হাজার।
ওজোপাডিকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আজহারুল ইসলাম বলেন, খুলনা, বরিশাল বিভাগ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও গোপালগঞ্জ মোট ২১ জেলা শহরের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ওজোপাডিকোর আওতায় রয়েছে। মঙ্গলবার থেকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরু হয়েছে। তবে ওজোপাডিকোর আওতাধীন সবজেলা লোডশেডিংয়ের আওতায় পড়ছে না। এরমধ্যে ৮টি জেলায় লোডশেডিংয়ের প্রয়োজন হচ্ছে না। পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের কারণে ওই ৮ জেলায় বিদ্যুতের ঘাটতি থাকছে না। এ জন্যই মূলত ওই জেলাগুলোতে লোডশেডিং প্রয়োজন নেই। তবে বাকী ১৩টি জেলায় লোডশেডিংয়ের আওতায় রয়েছে। এই জেলাগুলোর লোডশেডিংয়ের সিডিউল প্রকাশ করা হয়েছে। দৈনিক লোডশেডিংয়ের সূচি একদিন আগে প্রকাশ করা হবে। তবে সেটি সরবরাহ দেওয়া সাপেক্ষে ঘাটতি অনুযায়ী সূচি প্রকাশ করা হবে।
এদিকে লোডশেডিংয়ের প্রথমদিনে দক্ষিণাঞ্চলের আওতায় ছিল ২১ জেলা। মঙ্গলবার (১৯ জুন) রাত ৯টায় ওজোপাডিকো এবং পল্লী বিদ্যুতের ঘাটতি ছিল ৩২৮ মেগাওয়াট।
ওজোপাডিকোর কন্ট্রোলরুম সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ৯টায় খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ২ হাজার ৮৯ মেগাওয়াট। চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ ছিল ১ হাজার ৭৬১ মেগাওয়াট। ফলে বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দেয় ৩২৮ মেগাওয়াট। এরমধ্যে ওজোপাডিকোর ৫৮৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে সরবরহা দেওয়া হয় ৫১৯ মেগাওয়াট। ফলে ঘাটতি ছিল ৬৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
এছাড়া পল্লী বিদ্যুতের ১ হাজার ৫০৪ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ দেওয়া হয় ১ হাজার ২৪২ মেগাওয়াট। ফলে ঘাটতি ছিল ২৬২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।