সম্প্রতি খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার গিলাবাড়ি এলাকায় সন্তানদের সামনে মাকে গাছে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ঘটনায় চিকিৎসাধীন ভিকটিম নারীকে আজ ১৬ জুলাই দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখতে যান সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন খুলনা মহানগর শাখার নেতৃবৃন্দ।
নির্যাতিতা ঐ নারীর স্বামী হাসপাতালে উপস্থিত মানবাধিকার নেতৃবৃন্দকে বলেন, গত ১১ জুলাই পারিবারিক জমিজমা সংক্রান্ত ঘটনায় ভিকটিম নারীর চাচা, চাচাতো ভাইসহ ২৫-৩০ জন লোক তার বাবার জমিতে ঘর তুলতে আসে। এ সময় ঐ নারী তাদের বাঁধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার চাচাতো ভাইয়েরা তাকে বাড়ির পাশের মেহেগিনি গাছে বেঁধে বিবস্ত্র করে মারধর করেন। সন্তানদের সামনে ঘন্টাব্যাপী ঐ নারীর ওপর তারা পাশবিক নির্যাতন চালায়। পরে ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে পুলিশ গিয়ে নির্যাতিতা নারীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করে। ঘটনার ১ দিন পর ঐ নারীর জ্ঞান ফেরে। হাসপাতালের বিছানায় এখনো তিনি কাতরাচ্ছেন।
নির্যাতিতা নারীর স্বামী মানবাধিকার নেতৃবৃন্দকে আরও জানান, এ ঘটনায় ১৫ জুলাই ১৪ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করা হয়েছে এবং ২ জন আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। অন্য আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় মামলা উঠিয়ে নেয়ার জন্য তাদেরকে হুমকি দিচ্ছে। তাদের পরিবার এখন চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন এবং আসামিরা তাদের কলেজ পড়ুয়া ছেলের ক্ষতি করতে পারে বলেও আশংকা করছেন।
কয়রায় সন্তানদের সামনে মাকে গাছে বেঁধে মধ্যযুগীয় নির্যাতন (ভিডিও)
খুলনা গেজেট / আ হ আ