করোনা ভাইরাসের কারণে প্রায় ৫ মাস রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর পুনরায় চীন দেশে কাঁকড়া রপ্তানী চালুর দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সাতক্ষীরার কাঁকড়া ব্যবসায়ী ও খামারীরা। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় জেলা কাঁকড়া ব্যবসায়ী সমিতির আয়োজনে দেবহাটার সখিপুরে সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ মহাসড়কে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে প্রাথমিক পর্যায়ে লকডাউন চলাকালীন দুই মাস এবং সর্বশেষ গত ২৬ জুন থেকে সরকারী নির্দেশে আরো প্রায় তিনমাস চীন দেশে কাঁকড়া রপ্তানি বন্ধ হয়ে আছে। এতে করে একদিকে যেমন সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তেমনি ক্ষতির মুখে পড়েছেন কাঁকড়া শিল্পের সাথে সম্পৃক্ত সাতক্ষীরা জেলার লক্ষাধিক পরিবার।
বক্তারা আরো বলেন, একটানা কয়েক মাস ধরে চীন দেশে কাঁকড়া রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে থাকায় ব্যাংক ঋনের চাপ আর পরিবার পরিজনদের অন্নসংস্থান করতে হিমসিম খাচ্ছেন জেলার কাঁকড়া ব্যবসায়ী ও খামারীরা। এর আগে প্রতিবছর কেবলমাত্র সাতক্ষীরা জেলা থেকে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা মুল্যের কাঁকড়া চীন দেশে রপ্তানি হলেও সাম্প্রতিক সময়ে রপ্তানির যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ থাকায় উৎপাদিত কাঁকড়া নাম মাত্র মুল্যে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতে হচ্ছে খামারীদের। শুধু তাই নয়, কোটি টাকা মুল্যের মজুদকৃত রপ্তানীযোগ্য কাঁকড়া প্রতিনিয়ত খামারেই মারা যাচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। তাই কাঁকড়া শিল্পকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে এবং সংশ্লিষ্ট লক্ষ লক্ষ ব্যবসায়ী ও খামারীদের জীবন জীবিকা স্বাভাবিক করতে অবিলম্বে চীন দেশে কাঁকড়া রপ্তানি কার্যক্রম চালুর দাবিতে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেন সাতক্ষীরার কাঁকড়া ব্যবসায়ী ও খামারীরা।
সাতক্ষীরা জেলা কাঁকড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন দেবহাটা উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মুজিবর রহমান, সখিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি আবু রায়হান তিতু, কাঁকড়া ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি পরিতোষ মন্ডল, সাংগঠনিক সম্পাদক আনন্দ ঘোষ, কোষাধ্যক্ষ পরিতোষ বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক ফজলুর রহমান, সদস্য শরিফুল ইসলাম, শাহ আলম, কাঁকড়া খামারী আনারুল ইসলাম প্রমূখ।
মানববন্ধনে সাতক্ষীরার শ্যামনগর, কালীগঞ্জ, দেবহাটা, আশাশুনি সহ বিভিন্ন উপজেলার কাঁকড়া চাষী, খামারী ও ব্যবসায়ীরা স্বতস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
খুলনা গেজেট/এমআর