যশোরে তিনজনকে অপহরণ করে চাঁদাবাজির অভিযোগে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান কবীর শিপলুসহ তিনজনকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।
আসামিরা হলেন, পুরাতন কসবা এলাকার আব্দুর রবের ছেলে শাহজাহান কবীর শিপলু, চাঁচড়া মধ্যপাড়ার ইমদাদুল হকের স্ত্রী কুলসুম ও বকচর কবরস্থান রোডের মৃত সাইদুর আলমের ছেলে শফিকুল ইসলাম চিন্টু। বৃহস্পতিবার রাতে কোতোয়ালি থানায় এ মামলাটি করেছেন সদর উপজেলার মন্ডলগাতি গ্রামের শেখ জাহাঙ্গিরের ছেলে সাইফুল ইসলাম।
মামলায় বাদী উলেখ করেন, তার শ্যালেকের নামও সাইফুল ইসলাম। তিনি চাঁচড়ার মধ্যপাড়ার আবুল বাসারের ছেলে। শ্যালক দুই নম্বর আসামি কুলসুমের কাছে টাকা পেতেন। ওই টাকা নিয়ে সাইফুলের সাথে কুলসুমের বিরোধ চলছিলো। গত বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটায় ব্যক্তিগত কাজে সাইফুল যশোর শহরে আসেন। বড় বাজারের ভেতরে জব্বার এন্ড সন্সের সামনে পৌছানো মাত্রই আসামিরাসহ অপরিচিত ৭/৮জন সাইফুলকে অপহরণ করে ওই দোকানের পেছনে শিপলুর অফিসে নিয়ে যায়। এরপর তাকে বেধড়ক মারপিট করে খুন জখমের হুমকি দেয়া হয়। পরে তারা সাইফুলের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তাকে ফের লাঠি দিয়ে মারপিট করা হয়। বাধ্য হয়ে সাইফুল এ ঘটনা তার শ্বশুরকে জানায়। শ্বশুর বাদীকে জানালে তারা দু’জন শিপলুর অফিসে যায়। এরপর আসামিরা তাদের দু’জনকেও আটকে রাখে। এক পর্যায়ে শ্বশুরকে ছেড়ে দিয়ে টাকা নিয়ে আসতে বলা হয়। শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে একটি বিকাশ নম্বরের মাধ্যমে ১৮ হাজার টাকা পাঠায়। এছাড়া নগদ আরও ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে ও দুটি ব্লাঙ্ক চেক ও একটি স্ট্যাম্প নিয়ে ফের শিপলুর অফিসে যায়। এরপর শিপলু ওই টাকা নেয় এবং কুলসুম চেক ও স্ট্যাম্প নিয়ে রাত সাড়ে ১০টায় বাদীকে ছেড়ে দিয়ে বাকি টাকা আনতে বলে। পরে বাদী পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে হাতেনাতে শিপলুসহ তিন আসামিকে আটক করে। একই সাথে চেক, স্ট্যাম্প ও লাঠি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় রাতেই মামলা হয়। মামলার পর শুক্রবার দুপুরে আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই শরীফ আল মামুন জানান, তিন আসামিকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদের আটকের চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে তিনি জানান।
খুলনা গেজেট/ টি আই