ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের আড়পাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী মফিজুর রহমানকে হত্যার অভিযোগে পঙ্গু হাসপাতালের মালিক ডাক্তার আব্দুর রউফ, পরিচালক ডাক্তার নাজমুল সাদী রেজাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। বুধবার নিহতের স্ত্রী রোমানা বেগম বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগটি গ্রহণ করে কোতয়ালি থানায় দায়ের করা নিয়মিত মামলার তদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত অভিযোগটি স্থগিত রাখার আদেশ দিয়েছেন। একই সাথে আদেশে মামলার তদন্ত শেষে রিপোর্টের একটি কপি সংশ্লিষ্ট আদালতে জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তাকে।
মামলার আসামিরা হলো, পঙ্গু হাসপাতালের মালিক ডাক্তার আব্দুর রউফ, পরিচালক ডাক্তার নাজুল সাদী রেজা, ম্যানেজার আতিয়ার রহমান, হাসপাতালের কর্মচারী আব্দুর রশিদ, মোমেন মিয়া, এনমুল হক মুকুল, ইলেক্টিশিয়ান শিমুল কুমার দন্ত, কবির হোসেন, লিফট ম্যান আব্দুর রহমান।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, নিহত মফিজুর রহমানের মা বৃদ্ধা আছিয়া বেগমের পা ভেঙ্গে গেলে চিকিৎসার জন্য পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ডাক্তার আব্দুর রউফ ভাঙ্গা পায়ের অপারেশন করেন। গত ৩১ মার্চ মফিজুর রহমান হাসপাতালে এসে বিল পরিশোধের জন্য ডাক্তার আব্দুর রউফের চেম্বারে যান। হাসপাতালের বিল নিয়ে ডাক্তার আব্দুর রউফের সাথে মফিজুর রহমানের বাকবিতন্ডা হয়। তখন ডাক্তার আব্দুর রউফ তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন। এরপর থেকে মফিজুর রহমানকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ২ এপ্রিল হাসপাতালের লিফটের নিচ থেকে মাফিজুর রহমানের ক্ষত বিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। চিকিৎসার অতিরিক্ত টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে আসামিরা মফিজুর রহমানকে অপরিচিত সন্ত্রাসী দিয়ে অপহরণ করে হত্যার পর লাশ গুমের জন্য লিফটের নিচে রেখে দিয়েছিল।
এ ব্যাপারে কোতয়ালি থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ না করে তাদের দেয়া একটি লিখিত কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। পরে তিনি ও তার পরিবারের লোকজন খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন থানায় অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা রুজু হয়েছে। খোঁজ নিয়ে আসামিদের নামে থানায় মামলা করতে ব্যর্থ হওয়ায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।