সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার সোনাতলা গ্রামের গৃহবধু অনার্স পড়ুয়া কলেজ ছাত্রী শাহীনা রাসুল হাঁসিকে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন চালিয়ে হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের মা ফাতেমা খাতুন বাদি হয়ে শুক্রবার (১০ জুন) সকালে এই মামলা দায়ের করেন।
মামলায় জামাতা মাসুদুর রহমান হাসান, নিহতের ননদ স্কুল শিক্ষিকা মুর্শিদা খানম ও নিহতের শ্বাশুড়ি মনোয়ারা খাতুনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ নিহতের স্বামী মাসুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
নিহত শাহীনা রাসুল হাঁসি (২০) কালিগঞ্জ উপজেলার সোনাতলা গ্রামের মাসুদুর রহমান হাসানের স্ত্রী ও একই উপজেলার চাঁচাই গ্রামের আমিরুল ইসলামের মেয়ে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, দুই বছর আগে কালিগঞ্জ উপজেলার চাঁচাই গ্রামের আমিরুল ইসলামের মেয়ে কালিগঞ্জ রোকেয়া মুনসুর ডিগ্রী কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী শাহীনা রাসুল হাঁসির সঙ্গে সোনাতলা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোবারক আলীর ছেলে মাসুদুর রহমান হাসানের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে হাসান ও তার পরিবারের সদস্যরা যৌতুকের দাবিতে হাঁসিকে নির্যাতন করতো। সর্বশেষ হাসান ও তার পরিবারের সদস্যরা গত বুধবার হাঁসিকে বাপের বাড়ি থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে আসতে বলে। বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে অপারগতা প্রকাশ করায় বৃহস্পতিবার সকালে নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরে লাশের গলায় ওড়না পেচিয়ে গোসলখানার আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে দিয়ে আত্মহত্যার প্রচার দেওয়া হয়।
কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হালিমুর রহমান বাবু জানান, কলেজ ছাত্রী শাহীনা রাসুল হাঁসিকে হত্যার অভিযোগে তার মা ফতেমা খাতুন বাদি হয়ে নিহতের স্বামী, ননদ ও শ্বাশুড়িকে আসামি করে ২০০০ সালের সংশোধিত ২০০৩ এর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১(খ) ধারায় শুক্রবার থানায় মামলা (১৪নং) দায়ের করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত মাসুদুর রহমান হাসানকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই