নগরবাসীর আবাসিক সমস্যা নিরসনে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) নতুন ২টি আবাসন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। নিরালা-২ এবং ময়ূরী-২ নামে আবাসন প্রকল্প দুইটির ফিজিবিলিটি স্টাডি ইতিমধ্যে শুরু হয়ে চলমান রয়েছে। একই সঙ্গে ময়ূরী আবাসিক এলাকায় ময়ূর নদীর তীরে দৃষ্টিনন্দন পার্ক নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সংস্থাটি।
নগরীর নিরালা আবাসিক এলাকার দক্ষিণ পার্শ্ব থেকে বাইপাস সড়ক পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে নিরালা-২ আবাসন প্রকল্প। আর ময়ূরী-২ আবাসন প্রকল্প বর্তমান ময়ূরী আবাসিক এলাকার উত্তর পূর্ব দিকে ডুমুরিয়া উপজেলার চক আহসানখালী এবং চক মথুরাবাদ পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে বলে খুলনা গেজেট কে জানিয়েছেন কেডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী (প্রকল্প) মোঃ মোরতোজা আল মামুন ও পরিকল্পনা অফিসার মোঃ তানভীর আহমেদ।
১৯ বছর পর ২০১২ সালে সর্বশেষ কেডিএ সোনাডাঙ্গা বাইপাস রোড এবং বিশ্বরোডের কোল ঘেঁষে ৯০ একর জমির উপর ময়ূর নদীর তীরে ময়ূর আবাসন প্রকল্প হাতে নেয়। ডুমুরিয়া ও বটিয়াঘাটা উপজেলার অন্তর্গত নতুন এ আবাসিক এলাকাটি তৈরী হয়েছে। এ আবাসিক এলাকায় সর্বমোট প্লট রয়েছে ৬৫৩ টি। এরমধ্যে ৩ কাঠার ৩৮৪ টি এবং ৫ কাঠার ২৬৯ টি প্লট রয়েছে। প্লটগুলি বিক্রির জন্য ২০১৫ সালে ১৬ আগস্ট থেকে আবেদন গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করে কেডিএ। এরপর ২০১৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর লটারীর মাধ্যমে প্লট দেওয়া হয়।
কেডিএ সূত্রে জানা যায়, ময়ূরী আবাসিক প্রকল্পে বরাদ্দ থাকছে ধর্মীয় স্থানের জন্য ৩টি, খেলার মাঠের জন্য ২টি, পার্ক ও ফাঁকা জায়গার জন্য ৭টি, শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য ২টি জায়গা। এছাড়াও আছে মার্কেট, স্বাস্থ্যসেবা,পানির পাম্প হাউজের জায়গা, কমিউনিটি সেন্টার, পয়ঃনিষ্কাশন শোধনাগার, ময়লা পানি শোধনাগার, কবরস্থান ইত্যাদির ব্যবস্থা।
এ প্রকল্পটিতে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এমন অনেক সুবিধার ব্যবস্থা করেছে যা আগে কখনও নগরীর কোন আবাসিক প্রকল্পে দেখা যায়নি। লেকের পাশ দিয়ে মানুষের হাঁটার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে যা বিনোদন ও সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিতে এক অনন্য রূপ দিবে। বলা হয়েছে, এই আবাসিক এলাকাতে এমন অনেক দৃষ্টিনন্দন ব্যবস্থা আছে যা অনেকটা ধানমন্ডি লেকের অবয়ব তুলে ধরতে পারে। এখানে আছে সুবিশাল রাস্তা এবং প্রধান প্রবেশদ্বারটি প্রায় ১২০ ফুট চওড়া রাখা হয়েছে যা এখনও খুলনার কোনো আবাসিক এলাকাতে নেই।
কেডিএ নগর পরিকল্পনাবিদ তানভীর আহমেদ জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে যত রকম সুবিধা লাগে সবকিছুর সমন্বয়ে একটি আধুনিক প্রকল্প ডিজাইন করা হয়েছে। সেই সাথে বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের চাহিদার কথা বিবেচনা করে বিভিন্ন ধরনের নাগরিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত পরিবেশ বান্ধব ও স্বাস্থ্যকর একটি আবাসিক প্রকল্প হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। আমরা নগর পরিকল্পনার পেক্ষাপটে বিবেচনা করলে এটি অন্যতম একটি আদর্শ ও অনুকরন যোগ্য প্রকল্প। বর্তমানে প্রকল্পটির কাজ প্রায় শেষ হতে চলেছে। আশা করা যাচ্ছে আগামী বছরের মধ্যে সকল গ্রাহকের কাছে সফলভাবে প্লট হস্তান্তর করা সম্ভব হবে।
তিনি আরো বলেন, নিরালা-২ এবং ময়ূরী-২ নামে যে আবাসন প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্টাডি চলমান রয়েছে এ আবাসন প্রকল্প দুইটিও আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত ময়ূরী আবাসন প্রকল্পের আদলে তৈরী করা হবে।
খুলনা গেজেট/ এস আই