বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের কোলঘেঁষা ও ভৈরব-রূপসা বিধৌত খুলনার ১৪০তম জন্মদিন আজ সোমবার (২৫ এপ্রিল)।
দীর্ঘদিন ধরে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি ও বাংলাদেশ ডিবেটিং সোসাইটি খুলনার উদ্যোগে নগরীতে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে জাকজমকপূর্ণভাবো খুলনার জন্মদিন পালন করা হয়। প্রতিবছর জমকালো আয়োজনে খুলনার জন্মদিন পালন করা হলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে গত দুই বছর খুলনার জন্মদিনে কোনো কর্মসূচি পালন করা হয়নি।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে বঙ্গোপসাগরের কূলজুড়ে বিভাগীয় শহর খুলনার অবস্থান। নদ-নদী বিধৌত হযরত খানজাহান আলীর (রহ.)-এর স্মৃতি বিজড়িত শহর, সুন্দরবনের কোল ঘেষা অপরূপ এ জেলাটি লম্বা আকৃতির ও চৌকা ধরনের।
খুলনার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস থেকে জানা যায়, খুলনা নামকরণের উৎপত্তি নিয়ে মতভেদ রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচিত মতগুলো হচ্ছে- ধনপতি সওদাগরের দ্বিতীয় স্ত্রী খুলনার নামে নির্মিত ‘খুলনেশ্বরী মন্দির’ থেকে খুলনা নামের উৎপত্তি। ১৭৬৬ সালে ‘ফলমাউথ’ জাহাজের নাবিকদের উদ্ধার করা রেকর্ডে লিখিত Culnea শব্দ থেকে খুলনা। অনেক বিজ্ঞজনের মতে ‘কিসমত খুলনা’ মৌজা থেকে খুলনা নামের উৎপত্তি হয়েছে। বৃটিশ আমলের মানচিত্রে লিখিত Jessore-Culna শব্দ থেকে খুলনা এসেছে বলেও অনেকের ধারণা।
১৮৪২ সালে ভৈরব-রূপসা বিধৌত পুণ্যভূমি নয়াবাদ থানা ও কিসমত খুলনাকে কেন্দ্র করে নতুন জেলার সদর দপ্তর স্থাপিত হয় খুলনায়। খুলনা মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ব্রিটিশদের প্রশাসনিক এলাকা বৃদ্ধি এবং ভৌগলিক অবস্থার কারণে খুলনা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। মাত্র ৪০ বছরের ব্যবধানে ৪ হাজার ৬৩০ বর্গমাইল এলাকা, ৪৩ হাজার ৫০০ জনসংখ্যা অধ্যুষিত খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরাকে নিয়ে ১৮৮২ সালের ২৫ এপ্রিল গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে খুলনা জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। আর সেই পরিসংখ্যান অনুযায়ী খুলনার ১৪০ তম শুভ জন্মদিন সোমবার । এর আগে খুলনা ছিল যশোর জেলার মহকুমা। ব্রিটিশ শাসক ডাব্লিউ এম ক্লে খুলনা জেলার প্রথম ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।