সাতক্ষীরার দেবহাটায় র্যাব ও ভোক্তা অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে রপ্তানীযোগ্য বাগদা ও গলদা চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করার সময় হাতেনাতে আটক দুই মৎস্য ব্যবসায়ীকে দুই মাস করে জেল এবং আরও তিন মৎস্য ব্যবসায়ীকে একলাখ পাঁচ হাজার টাকা অর্থদ্বন্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার গাজীরহাট মৎস্য সেড সংলগ্ন কয়েকটি চিংড়ি প্রসেসিং ও রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠানে এ যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন র্যপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র্যাব-৬) সিপিসি-১ সাতক্ষীরা ও জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের অফিসাররা।
এসময় উপজেলার রামনাথপুর গ্রামের জহুর আলী সরদারের ছেলে সিরাজুল ইসলাম, দাউদ আলী গাজীর ছেলে বাবুল গাজী, শিমুলিয়ার নূর মোহাম্মাদ মিস্ত্রির ছেলে অহিদুল ইসলাম, পূর্ব নলতা গ্রামের মৃত মাদার গাজীর ছেলে মনিরুল ইসলাম ও নওয়াপাড়ার মৃত নাজমুল হকের ছেলে সোমলাইমানের মাছ ঘর থেকে ২৫ কেজি অপদ্রব্য পুশকৃত বাগদা ও গলদা চিংড়ি জব্দ করা হয়।
পরে সেখানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে সিরাজুল ইসলাম ও বাবলু গাজীকে দুই মাস করে কারাদন্ড এবং অহিদুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম উভয়কে ৫০ হাজার টাকা করে এবং সোলাইমানকে ৫ হাজার টাকা অর্থদ্বন্ড প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম খালিদ হাসান সিদ্দিকী। একইসাথে জব্দকৃত বাগদা ও গলদা চিংড়ি গুলো বিনষ্ট করা হয়।
গাজীরহাটের একাধিক চিংড়ি রপ্তানীকারক ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, প্রশাসনের নজর এড়িয়ে অতিরিক্ত মুনাফার আশায় আটককৃত ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে ইনজেকশনের সুঁই ও সিরিঞ্জের মাধ্যমে রপ্তানীযোগ্য বাগদা ও গলদা চিংড়িতে ফিটকিরি’র পানি, জেলি, ওলটকম্বল নামক গাছের পিচ্ছিল ঘন রসসহ বিভিন্ন ধরণের অপদ্রব্য পুশ করে চিংড়ির ওজন বৃদ্ধিসহ সাধারণ ভোক্তাদের সাথে প্রতারণা করে আসছিল। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হওয়ায় সাময়িক হলেও স্বস্তি ফিরেছে আশপাশের মৎস্য সেডগুলোতে।
অভিযানকালে সাতক্ষীরা জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাজমুল হাসান, জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোকলেছুর রহমান, র্যাব-৬ সাতক্ষীরা ক্যাম্পের স্কোয়ার্ড লিডার ইশতিয়াক হোসেন ও নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।