হাফসেঞ্চুরি থেকে আর মাত্র ৩ রান দূরে ছিলেন তামিম ইকবাল। তখনই তাকে শিকারে পরিণত করেন উইয়ান মুল্ডার। ৫৭ বলে ৪৭ রান করে ফিরে যান তামিম। জয় আউট হয়েছিলেন শূন্য রানে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট হারিয়ে ৮৯ রান নিয়ে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। টাইগারদের হয়ে শূন্য রান নিয়ে মুশফিকুর রহিম ও এক রান নিয়ে মুমিনুল হক ব্যাট করছেন। লাল সবুজের প্রতিনিধিরা এখনও পিছিয়ে আছে ৩৬৪ রানে।
এর আগে প্রথম ইনিংসে প্রোটিয়াদের ৪৫৩ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ। প্রোটিয়াদের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেন কেশভ মহারাজ। এলগার ছাড়াও হাফসেঞ্চুরি করেন কিগান পিটারসেন, টেম্বা বাভুমা ও ডিন এলগার। পিটারসেন ৬৪, বাভুমা ৬৭ ও এলগার ৭০ রান যোগ করেন স্কোর বোর্ডে। বাকিদের মধ্যে রায়ান রিকেলটন ৪২, উইয়ান মুল্ডার ৩৩ ও সিমন হারমার ২৯ রান করে। এদের মধ্যে ডিন এলগার, কিগান পিটারসেন, রায়ান রিকেলটন, উইয়ান মুল্ডার, কেশভ মহজারাজ ও সিমন হারমারের উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম।
৬ উইকেট শিকারের মাধ্যমে টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে দেড়শোর মাইলফলকে পৌঁছলেন তাইজুল ইসলাম। ৩৬ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে ইনিংসের হিসাবে এটি তাইজুলের দশমবারের মতো ৫ বা তার চেয়ে বেশি উইকেট শিকারের ঘটনা। টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে তাইজুলের চেয়ে বেশি উইকেট কেবল সাকিব আল হাসানের। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ৫৯ ম্যাচে নিয়েছেন ২১৫ উইকেট। ৩৩ ম্যাচে ১২৬ উইকেট নিয়ে তাইজুলের পিছু পিছু ছুটছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। অথচ প্রথম টেস্টে তাইজুলকে একাদশেই রাখেনি বাংলাদেশ।
এ ম্যাচের আগে তাইজুল সবশেষ খেলেছিলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে। তাকে ছাড়া এরপর আরও তিনটি টেস্ট খেলেছে টাইগাররা। এ বছরের শুরুর দিকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজে দলে থাকলেও একাদশে সুযোগ পাননি তিনি। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে প্রথম টেস্টেও ছিলেন না।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৪৫৩/১০ (১৩৬.২ ওভার)
বাংলাদেশ: ৮৫/৩ (২৩ ওভার)
খুলনা গেজেট/এএ