সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের রুইয়ারবিল গ্রামে কপোতাক্ষ নদের বেডিবাঁধে আকস্মিকভাবে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। আম্ফান ও ইয়াসের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ফের পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দেয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। খবর পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেছেন অশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়ানুর রহমান। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত বেডিবাঁধ সংস্কারে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পাউবো এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় সাংবাদিক মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘গত অমাবস্যার সময় থেকে প্রতাপনগর ইউনিয়নের রুইয়ারবিল গ্রামের কপোতাক্ষ নদ এলাকায় সাতক্ষীরা পাউবো বিভাগ-২ এর আওতাধীন ৭/২ নং পোল্ডারের বেড়িবাঁধের প্রায় ২০০ফুট স্থানজুড়ে আকস্মিকভাবে ভাঙন দেখা দেয়। কপোতাক্ষ নদের অব্যাহত ভাঙনে মূল বেডিবাঁধের একের তিনাংশ নদীগর্ভে চলে গেছে। ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে সামনের বর্ষা মৌসুমে ঝড় জলোচ্ছ্বাসে বাঁধ আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত এই বেড়িবাঁধ ভেঙে তলিয়ে যাবে ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা।
এদিকে, প্রতাপনগর ইউনিয়নের শ্রীপুর, কুড়িকাহানিয় গ্রামের লঞ্চঘাটের উত্তর ও দক্ষিণ সীমানা এবং মাদারবাড়িযা খেয়াঘাটা সংলগ্ন এলাকায়ও বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) সকালে প্রতাপনগরের রুইয়ারবিল, কুড়িকাহানিয়া, সুভদ্রাকাটি, চাকলা, মাদারবাড়িয়া এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেছেন আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াানুর রহমান। ভাঙন এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ এবং জনপ্রতিনিধিদের সাথে আলাপকালে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান।
প্রসঙ্গত, ঘুর্ণিঝড় আম্ফান ও ইয়াসের প্রভাবে কপোতাক্ষ নদ ও খোলপেটুয়া নদীর প্রবল জোয়ারের তোড়ে কমপক্ষে পাঁচটি পয়েন্টে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় পুরো প্রতাপনগর ইউনিয়ন। ফলে জোয়ার-ভাটায় প্লাবিত হয়ে প্রায় দুই বছর প্রতাপনগর ইউনিয়নের ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি জীবনযাপন করেছে। ফের বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দেয়ায় আতংকিত হয়ে পড়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী। সেজেন্য জরুরিভিত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এবং সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগী ইউনিয়নবাসী।
খুলনা গেজেট/এএ