সাতক্ষীরায় উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন ভ্যান ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় সৎ পিতাসহ মায়ের উপর অভিমানে আব্দুর রহমান নামের এক যুবক আত্মহত্যা করেছে। স্ত্রীকে মোবাইল রিচার্জ করার অজুহাতে দোকানে পাঠিয়ে শোবার ঘরের আড়ার সাথে নেট জালের ফাঁস লাগিয়ে সে আত্মহত্যা করে।
রবিবার (৩ এপ্রিল) সকাল ৮ টার দিকে শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের কুপোট গ্রামের গাইনেরছিলে গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আত্মহননকারি ভ্যান চালক আব্দুর রহমান নামের (২২) সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কুপোট গ্রামের সামছুর শেখের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, শ্যামনগরের কুপোট গ্রামের সামছুর শেখের ছেলে আব্দুর রহমান মায়ের সাথে তার দ্বিতীয় স্বামী সাহেব আলীর সংসারে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছিল।
কয়েকদিন আগে মায়ের দ্বিতীয় স্বামী সাহেব আলী আব্দুর রহমানের রোজগারের একমাত্র উৎস ভ্যান ছিনিয়ে নেয়। পারিবারিক কলহের জেরে নিজের টাকায় কিনে দেয়া ভ্যান সৎ পিতা ছিনিয়ে নেয়ার পর বেকার হয়ে পড়া আব্দুর রহমান পাশের একটি মাছের সেটে কাজ নেয়। একদিন আগে তার সৎ পিতা ইতিপুর্বে তার কিনে দেয়া মোবাইল ফোনসহ আরও কিছু জিনিসপত্র নিয়ে নেয়ার পাশাপাশি বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এসব ঘটনার জেরে রোববার সকালে দুই মাস আগে বিবাহিত স্ত্রীকে মোবাইল রিচার্জ করার অজুহাতে দোকানে পাঠিয়ে শোবার ঘরের আড়ার সাথে নেট জালের ফাঁস লাগিয়ে সে আত্মহত্যা করে।
মৃতের স্ত্রী মরিয়ম বেগম জানায়, ভ্যান ও মোবাইলসহ অন্যান্য জিনিসপত্র নেয়ার পর সাহেব আলী ও রহমানের মা তাকে গালিগালাজ করে বাড়ি ছেড়ে যেতে বলে। এক পর্যায়ে সকালে তাকে মোবাইলে রিচার্জ করে দেয়ার জন্য বাইরে পাঠিয়ে সে আত্মহত্যা করে।
সাহেব আলী জানায়, বাদানুবাদে জাড়ানোর কারনে তার স্ত্রী রহমানকে ভ্যান রেখে দিতে বলেছিল। তবে এমন কান্ড ঘটাবে সেটা অনুমানও করা যায়নি।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এএ