এখন পর্যন্ত সাউথ আফ্রিকার মাটিতে তাদের বিপক্ষে কোনো ফরম্যাটেই জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। অধরা সেই জয়ের আশায় তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে প্রোটিয়াদের ৩১৫ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে লাল সবুজের জার্সিধারীরা।
নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩১৪ রান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৭ রান এসেছে সাকিব আল হাসানের ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫০ করে রান আসে লিটন দাস ও ইয়াসির আলি রাব্বির ব্যাট থেকে।
দিনের শুরুতে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে সেঞ্চুরিয়নের পেইসবান্ধব উইকেটে কাগিসো রাবাডা ও লুঙ্গি এনগিডি শুরু থেকে করা শর্ট লেংথে বলে খুব একটা সুবিধা করতে পারছিলেন না তামিম ইকবাল ও লিটন দাস।
ব্যাটিং পাওয়ার-প্লের ১০ ওভারে তারা ডট বল দিয়েছেন ৪৫টি। অর্থাৎ মাত্র ১৫টি বলে রান এসেছে।
কিন্তু ১৫ ওভারের পর বিধ্বংসীরূপ ধারণ করেন এই দুই ওপেনার। রানের গতি বাড়ানোর পাশাপাশি চার ছক্কার ফুলঝুরি ছড়িয়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন।
দেখেশুনে খেলার একপর্যায়ে খেই হারিয়ে ফেলেন তামিম ইকবাল। আন্দিলে ফেলুকোয়েওর গুড লেন্থের বল ব্যাকফুটে গিয়ে খেলতে গিয়ে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে ৪১ করে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
আর তাতেই ভাঙ্গে লিটনকে সঙ্গে নিয়ে করা ৯৫ রানের উদ্বোধনী জুটি। একই সঙ্গে ভাঙ্গে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে তাদের মাঠে বাংলাদেশের রেকর্ড রানের ওপেনিং জুটি। এতদিন সর্বোচ্চ রানের উদ্বোধনী জুটি ছিল ৪৬ রানের।
সঙ্গীর বিদায়ে বিচলিত না হয়ে উইকেট ধরে রেখে সাকিবকে নিয়ে যাত্রা শুরু করেন লিটন। পথিমধ্যে তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম অর্ধশতক।
৬৬ বলে তুলে নেয়া লিটনের অর্ধশতকে ছিল ৫টি চার ও ১টি ছক্কার মার।
হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পরের বলেই কেশভ মহারাজের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন ডানহাতি এই ওপেনার। যার ফলে স্কোরবোর্ডে ৯ রান যোগ করতেই সাজঘরে ফিরতে হল দুই ওপেনারকেই।
এরপর সাকিব আল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামতের কাজ শুরু করেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু দলকে বেশিদূর টেনে নিয়ে যাওয়া সম্ভপব হয়নি তার পক্ষে। ৯ রান করেই কেশভ মহারাজের দ্বিতীয় শিকার বনে মাঠ ছাড়েন তিনি।
এরপর ইয়াসির আলি রাব্বিকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেয়ার মিশনে নামেন সাকিব। বাউন্ডারির ফুলঝুরি ছুটিয়ে বড় সংগ্রহের দিকে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন দলকে।
মারকুটে ব্যাটিংয়ে ৫০ বলে সাকিব তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৫০তম অর্ধশতক। সঙ্গী ইয়াসির আলি রাব্বিও তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক।
সেঞ্চুরির পথে ব্যাট চালাতে গিয়ে ৭৭ রানে লুঙ্গি এনডিগিকে স্কুপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পরে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। সঙ্গীর বিদায়ের পর বেশিক্ষণ মাঠে রাখা যায়নি রাব্বিকে। রাবাদার শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি সাকিবের ফেরার এক বল বাদেই।
শেষদিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ২৫, আফিফ হোসেনের ১৭ রানের ইনিংসে ভর করে সাউথ আফ্রিকার সামনে ৩১৪ রানের পুঁজি দাঁড় করায় বাংলাদেশ।
খুলনা গেজেট/ এস আই