ভোজ্য তেলের ওপর থেকে সরকারের ভ্যাট প্রত্যাহারের পর পাইকারী বাজারে কিছুটা প্রভাব পড়লেও খুচরা বাজারের পরিস্থিতি অপরিবর্তিত। পূর্বের দরেই বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল। এছাড়া বাজারে সরবরাহ এখনো স্বাভাবিক হয়নি।
অস্থির বাজারকে স্বাভাবিক করতে তেল, চিনি ও ছোলার ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার করে নেয় সরকার। ভোজ্যতেল সয়াবিনের উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং ভোক্তা পর্যায়ে ৫ শতাংশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ অবস্থায় খুলনার পাইকারী বাজারে ব্যবসায়ীরা তেলের দাম কিছুটা কমিয়ে দিলেও দাম কমাতে নারাজ স্থানীয় খুচরা ব্যবসায়ীরা।
শনিবার (১২ মার্চ) খুলনা নগরীর বিভিন্ন এলাকার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন তেল ১৯০ টাকা, পামওয়েল ১৭০ টাকা আর পাঁচ লিটারের বোতল ৮০০ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। জানতে চাইলে ভ্যাট প্রত্যাহারের বিষয়টি তারা জানেন না বলে জানান।
নগরীর বড় বাজারের পাইকারী তেল ব্যবসায়ী ও রেজা এন্ড ব্রাদার্সের মালিক মো: শাহ আলম বলেন, সরকারের ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণায় সয়াবিন তেলের ওপর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। তিনি আজ প্রতিকেজি সয়াবিন ১৮০ টাকার স্থলে ১৫৩ টাকা এবং পামওয়েল ১৫৪ টাকায় বিক্রি করছেন। আর বাজারে বোতলজাত কোন সয়াবিন তেল নেই। তবে খোলা তেলের দাম কমতে শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, খুলনার বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভাব নয়। কারণ হিসেবে তিনি জানান, খুলনায় তেল রিফাইন হয় না, হয় ঢাকায়। যদি সমস্ত বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হয় তাহলে মিলে মিলে গিয়ে অভিযান চালাতে হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বড় বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণায় এ বাজারের অনেক ব্যবসায়ী খুশি হয়েছেন। এক্ষেত্রে কম দরে তেল কিনে কেউ যাতে মজুদ করতে না পারে সেজন্য প্রশাসনের জোরালো নজরদারি চান তিনি।
বড় বাজারের অপর ব্যবসায়ী মেহেদী বলেন, বাজারে তেলের কোন সংকট নেই। তবে ভ্যাট প্রত্যাহারে এ বাজারের অনেক ব্যবসায়ী ‘কাঙ্খিত লাভ’ থেকে বঞ্চিত হবেন।
শনিবার সন্ধ্যায় নগরীর ময়লাপোতা সান্ধ্য বাজারের কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখা গেছে তাদের দোকানে সূর্যমূখী ও রাইসব্রান্ড তেল ছাড়া সয়াবিন তেল নেই। পাইকারী বাজার থেকে তারা তেল আনছেন না বলে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
রূপচাঁদা খুলনার পরিবেশক খুলনা গেজেটকে বলেন, দাম বৃদ্ধির আগে তিনি প্রতিমাসে ১২ শ’কার্টন করে তেল নিতেন কোম্পানীর নিকট থেকে। গত সপ্তাহে ৪শ’ কার্টন তেল পেয়েছেন। যা ব্যবসায়ীদের দেওয়া হয়েছে। এসব তেল তারা কি করছেন তা তিনি জানেন না। খুচরা ব্যবসায়ীরা অধিক তেল মজুদ করে তার প্রাইস লেভেল ঘষে সেখানে অতিরিক্ত মূল্য সংযোজন করেন। তার ঘরে বোতলজাত সয়াবিন তেলের কোন মজুদ নেই। ভ্যাট প্রত্যাহারের খবর তিনি শুনেছেন। তবে সে রেটের কোন মাল এখনও আসেনি বলে তিনি আরও জানান।
খুলনা গেজেট/এএ