সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনে দীনেশ কর্মকারের জমিতে থাকা বধ্যভূমিতে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাতক্ষীরা জেলা শাখা আয়োজিত এক বিশেষ আলোচনা শনিবার (৫ মাচ) বিকাল ৫ টায় অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরার বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সড়ক রাজাকারদের নামে শোভা পাচ্ছে। সাতক্ষীরার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের জনগণ ওইসব নামকরণ পরিবর্তনের দাবিতে আন্দোলন করলেও স্বাধীনতার ৫০ বছরেও তার পরিবর্তন করা হয়নি। সাতক্ষীরা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলার অনেক বধ্যভূমি সংরক্ষিত হয়নি। ওইসব স্থানে নির্মিত হয়নি কোন স্মৃতিস্তম্ভ।
বক্তারা আরো বলেন, জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে বারবার আবেদন ও স্মারকলিপি দেওয়ার পরও সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনে দীনেশ কর্মকারের জমিতে নির্মিত হয়নি স্মৃতিস্তম্ভ। অথচ ওই বধ্যভূমির জায়গা একটি মহল কৌশলে দখল করে নেওয়ার কাজ অব্যহত রেখেছে। এটা মেনে নেওয়া হবে না। মুক্তিযুদ্ধের সরকারের সময়ে যদি এ কাজ শুরু না করা যায় তাহলে আগামিতে সাতক্ষীরার কোন বধ্যভূমির অস্তিত্ব থাকবে না। তাই দীনেশ কর্মকারের জমিতে বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণে স্থানীয় প্রশাসন ব্যর্থ হলে ’৭১ এর বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণ কমিটি এবং ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সকলকে নিয়ে আগামি ২৬ মার্চের মধ্যেই এ নির্মাণ কাজ শুরু করবে।
’৭১ এর বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণ কমিটির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সুভাষ সরকারের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডার মশিউর রহমান মশু, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. ইউনুস আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. মোস্তফা নুরুল আলম, ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির সাতক্ষীরা জেলা শাখার আহবায়ক সাবেক অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী, মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সাতক্ষীরা জেলা শাখার সম্পাদক অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু, মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত, আওয়ামী লীগ নেতা হারুন অর রশিদ, আওয়ামী লীগ নেতা লায়লা পারভিন সেঁজুতি, আবু বকর ছিদ্দিক, শিক্ষক পবিত্র মোহন দাস, জাসদ নেতা ওবায়দুস সুলতান বাবলু, হেনরী সরদার, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক স্বপন শীল, ডাঃ সুব্রত ঘোষ, জাসদ নেতা প্রভাষক ইদ্রিস আলী প্রমুখ।
বক্তারা রোববার বিকেল তিনটায় ’৭১ এর বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও স্মৃতি সৌধ নির্মাণ কমিটির আহুত কর্মসুচিতে যোগদানের জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
খুলনা গেজেট/কেএ