সাতক্ষীরায় গত পাঁচ বছরে শতাধিক বাল্য বিয়ে সম্পাদনের অভিযোগে দেবহাটার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের বিবাহ রেজিস্ট্রার ও জালিয়াত চক্রের হোতা আবু বাশার (৩৫) কে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে এই অর্থদন্ড প্রদান করেন।
অভিযুক্ত বিবাহ রেজিস্ট্রার আবু বাশার সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের জিয়াদ আলীর ছেলে ও ঘোনাপাড়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘোনাপাড়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার ও দেবহাটার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের বিবাহ রেজিস্ট্রার আবু বাশার দীর্ঘদিন থেকে সরকারি আইন অমান্য করে জাল কাগজ তৈরীসহ অপ্রাপ্ত বয়স্কদের বাল্যবিয়ে দিয়ে আসছিলেন। ইতিপূর্বে কয়েকবার দাখিল পরীক্ষার প্রশ্নপত্র জালিয়াতিসহ অছাত্রদের দিয়ে দাখিলের প্রক্সি পরীক্ষা দেয়ানোর সময় আটক হন তিনি। এমনকি কয়েকবার দেয়াল টপকেও পালিয়ে যাওয়ার রেকর্ড রয়েছে আবু বাশারের।
বাল্যবিবাহ বন্ধে দেবহাটায় নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী। শনিবার দুপুর ২টার দিকে জালিয়াত চক্রের হোতা আবু বাশারের গাজীরহাট বাজারস্থ রেজিস্ট্রি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এসময় তার রেজিস্ট্রি কার্যালয় থেকে গত পাঁচ বছরে অন্তত শতাধিক বাল্যবিয়ে সম্পাদনের নথি, ডজনখানেক জাল বিবাহ রেজিস্টার খাতা উদ্ধার করা হয়। পরে মোবাইল কোর্টে তাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আবু বাশার সরকারি আইন অমান্য করে বাল্যবিয়ে দিয়ে আসছিলেন। অভিযানে গত ৫ বছরে অন্তত শতাধিক বাল্যবিয়ে সম্পাদনের নথি এবং ডজনখানেক জাল বিবাহ রেজিস্ট্রার খাতা জব্দ করা হয়। তাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং তার লাইসেন্স বাতিলের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই