যশোরের চৌগাছায় এবার কপোতাক্ষ নদ থেকে বালু উত্তোলনের সময় দুটি মেশিন, বেশ কয়েকটি পাইপ এবং নদীতে নামার ফলাসহ বালু উত্তোলোনের সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়েছে। চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা জানান বালু উত্তোলনকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হবে।
বুধবার (৯ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার তাঁহেরপুরে কপোতাক্ষ নদের উৎপত্তিস্থলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইরুফা সুলতানার নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। এসময় পুলিশ সদস্য ছাড়াও তাঁর অফিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অভিযানের খবর পেয়ে বালু উত্তোলনকারীরা মেশিন ও সরঞ্জামাদি ফেলে রেখে পালিয়ে যাওয়ায় ওইসব সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়।
এদিকে বুধবার উপজেলার তাহেরপুরে উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন অভিযান চালিয়ে বালু তোলা মেশিনসহ সরঞ্জামাদি জব্দ করলেও থেমে নেই পেটভরা ও নারায়নপুরে বালু উত্তোলন। বুধবারও এসব স্থানে বালু তোলা হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বলেন, কপোতাক্ষ নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে বুধবার দুপুরে উপজেলার তাহেরপুরে এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় মেশিন ও সরঞ্জামাদি ফেলে রেখে পালিয়ে যায় বালু উত্তোলনকারীরা। সেখান থেকে বালু তোলার কাজে ব্যবহৃত দুটি মেশিন ও বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান এই বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হবে। একইসাথে অন্যস্থানে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধেও অভিযান চালানো হবে।
তিনি জানান এরআগে লিখিত অভিযোগ পেয়ে নিষেধ করা হলেও তাঁরা বালু উত্তোলন চালিয়ে যাচ্ছিলো। তিনি আরও বলেন, চৌগাছায় স্বীকৃত কোন বালু মহাল নেই। কোন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বালুর প্রয়োজন হলে জেলা প্রশাসকের অনুমোদন সাপেক্ষে বালু তোলা যাবে বলে বালুমহাল নীতিমালায় উল্লেখ আছে। তবে আমার জানামতে চৌগাছার বালু উত্তোলনকারীদের কারও জেলা প্রশাসকের অনুমোদন নেই।