বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীনের উদ্যোগে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় ৬৩ লাখ টাকা ব্যয়ে বিশেষ করোনা ইউনিট চালু করা হয়েছে। দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের শুরু থেকেই এ উপজেলায় করোনার প্রাদুর্ভাব রোধে সেন্ট্রাল হাইফ্লো-অক্সিজেন সিস্টেমসহ ২০ শয্যার বিশেষায়িত করোনা ইউনিট, ভিআইপি কেবিন, আইসিইউ পেসেন্ট মনিটরসহ পর্যাপ্ত প্রয়োজনীয় মেডিসন মজুদ রাখা আছে। করোনা রোগীদের সার্বক্ষণিক সেবা প্রদান করার লক্ষে ৮ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসক ও নার্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। একমাত্র মারত্মক ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের আইসিইউ ভেন্টিলেটর সুবিধা ছাড়া করোনা প্রতিরোধে অন্য সব ধরনের আধুনিক চিকিৎসা সেবা এখন এ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রেই প্রদান করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশে করোনা মহামারির শুরুতেই বাগেরহাট জেলার মধ্যে চিতলমারী উপজেলায় সর্ব প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়। কিন্তু এমপি শেখ হেলাল উদ্দীনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ উপজেলায় সব সময় আক্রান্ত ও মৃত্যুহার ছিল সর্বনিম্ন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় তাঁর উদ্যোগে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেমসহ সেমি আইসিইউ ইউনিট, ভিআইপি কেবিনস্থাপন, ২০ শয্যার অত্যাধুনিক রিমোট কন্ট্রোল সিস্টেম পেসেন্ট বেডসহ বিশেষায়িত করোনা ইউনিট চালু, আইসিইউ পেসেন্ট মনিটর সিস্টেমসহ প্রয়োজনীয় সকল চিকিৎসা সামগ্রীর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
চিতলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পীযূষ কান্তি রায় বলেন, করোনা মহামারির শুরু থেকেই জননন্দিত সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীন মানবিক সহায়তা প্রদান, উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে করোনা ইউনিট স্থাপনসহ মহামারি প্রতিরোধে প্রসংশনীয় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করায় উপজেলাবাসী কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
এ ব্যাপারে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মামুন হাসান বলেন, বাগেরহাট-১ আসনের এমপি শেখ হেলাল উদ্দীন’র ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আমরা সাফল্যজনক ভাবে করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা করতে পেরেছি। করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবেলায়ও আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। ইতোমধ্যেই এ উপজেলায় প্রায় শতভাগ ভ্যাকসিনের আওতায় এসেছে। তিনি করোনা রোধে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে আধুনিক চিকিৎসা গ্রহণের আহ্বান জানান।
খুলনা গেজেট/এনএম