সাতক্ষীরার তালা উপজেলার সরুলিয়া ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান কর্তৃক ভোটের ব্যালট পেপার পুনঃগণনা কার্যক্রমে বাঁধাদানের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) বিকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা গ্রামের রফিকুল ইসলাম বিশ্বাসের ছেলে চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রব পলাশ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি তালা উপজেলার ৩ নং সরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের একজন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ছিলাম। গত ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ভোটে আমি আনারস প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করি। ভোটের আগে, ভোটের দিন ও ভোট গণনার সময় আমি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুপ আচরণের স্বীকার হয়েছি। কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্ট বের করে দেওয়া, কোন কোন কেন্দ্রে ফলাফল সীটে অগ্রীম স্বাক্ষর করে নেওয়া, আবার কোন কেন্দ্রে একেবারেই ফলাফল সীটে স্বাক্ষর না নেওয়া ও গণনায় কারচুপি করা হয়। এসব ঘটনায় আমি সাতক্ষীরা নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করি। মামলা নং ২/২১ ইং। মামলা শুনানী শেষে বিচারক মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন ফরাজী গত ৫ জানুয়ারি তালা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে ব্যালট পেপার আদালতে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
সেই নির্দেশনা মতে, বৃহস্পতিবার ২০ জানুয়ারি তালা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ব্যালট পেপার সাতক্ষীরা নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে নিয়ে আসার সময় সকাল ১০টার দিকে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত চেয়ারম্যান আব্দুল হাই ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে নির্বাচন অফিসের মধ্যে থাকা ব্যালট রাখা বস্তাগুলো টানাহেচড়া শুরু করেন। এসময় তিনি ভোট পুনঃগণনার আদালতের নির্দেশনা পালন বাঁধাগ্রস্থ ও বিতর্কিত করার পায়তারা চালান। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার জরুরী ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তারপর ব্যালটের বস্তাসহ অন্যান্য কাগজপত্রাদি একটি মাইক্রোবাসযোগে নিয়ে সাতক্ষীরা আদালতের উদ্দেশ্যে রওনা হন সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তারা।
তিনি আরও বলেন, ব্যালটের পাঁচটি বস্তা আদালতে নিয়ে আসার পর বস্তার মুখ খোলা দেখে দুপুর ৩টার দিকে সেগুলো তালা নির্বাচন অফিসে ফেরৎ দেন আদালতের বিচারক। ভোট পুনঃগননার কাজটি বাঁধাগ্রস্থ করতে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত চেয়ারম্যান আব্দুল হাই আদালতে একের পর এক সময়ক্ষেপণ করছেন। ভোট পুনরায় গণনায় এই প্রার্থীর সমস্যা কোথায় সেটা জানতে চায় সরুলিয়া ইউনিয়নবাসী। প্রকৃত অর্থে, সে ভোটে জয়লাভ করেনি। কারচুপির মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছে। আমি বিষয়টি সমাধানের জন্য আদালতের স্মরণাপন্ন হয়েছি।
তিনি এ সময় ভোট পূনগণনায় যাতে কোনভাবে বাঁধাগ্রস্থ করতে না পারে সেজন্য প্রশাসনের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।