বাগেরহাট জেলার রামপালের কৃতি সন্তান, জাতীয় জাদুঘরের সাবেক মহাপরিচালক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারু ও কারুকলা ইনস্টিটিউটের প্রফেসর, বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ এডুকেশন সোসাইটি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও দেশবরেণ্য চিত্র শিল্পী মোঃ মাহমুদুল হক তার প্রিয় জন্মস্থান উপজেলার শ্রীফলতলা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে চির নিদ্রায় শায়িত হলেন।
বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকাস্থ ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে ও মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে কর্ম জীবন শুরু করলেও পরবর্তীতে তিনি জাতীয় যাদুঘরের মহাপরিচালকসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ঢাকা জাতীয় জাদুঘরের তার প্রথম জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায়
তার প্রিয় জন্মস্থান শ্রীফলতলা গ্রামের শ্রীফলতলা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তাকে তার পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।
তার জানাযা নামাজে অংশগ্রহণ ও রামপালে এক নজরে দেখতে আসেন রামপাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কবীর হোসেন, আমাদের গ্রাম’র পরিচালক রেজা সেলিম, শান্তা মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তাফিজুল হক, রামপাল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ মজনুর রহমান, দিগরাজ মহাবিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ মোতাহার রহমান, খুলনা জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শেখ মোঃ আবু হানিফ, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ও বাঁশতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল (ভিপি সোহেল), ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল্লাহ ফকির, তরফদার মাহফুজুল হক টুকু, হাওলাদার রফিকুল ইসলাম বাবুল, মোঃ নাসির উদ্দীন, মোঃ রাজিব সরদার, মুন্সি বোরহান উদ্দিন জেড, রূপান্তরের প্রধান নির্বাহী স্বপন গুহ, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আকবর আলী, রামপাল প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাওঃ আঃ হাদী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইফুল আলম বকতিয়ার, উপজেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ মান্নান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ বজলুর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাদী প্রমুখ। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ, ‘আমাদের গ্রাম’ প্রকল্পের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী বৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ ও শিক্ষক বৃন্দ, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, এনজিও প্রতিনিধিবৃন্দ ও এলাকার অসংখ্য সাধারণ মানুষ তার জানাযায় অংশগ্রহণ করেন।
তার মৃত্যুতে ‘আমাদের গ্রাম’ তিন দিনের শোক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এ উপলক্ষে তারা কালো ব্যাজ ধারণ ও কালো পতাকা উত্তোলনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে বলে জানা গেছে।