যশোরের শার্শা উপজেলায় পৃথক নির্বাচনী সহিংসতায় এক যুবক খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও সাতজন আহত হয়েছেন। নিহত যুবক কুতুব উদ্দীন (৪৫) উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের রুদ্রপুর গ্রামের মহিউদ্দীনের ছেলে ও চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারস প্রতীকের আলতাফ হোসেনের কর্মী।
আহতরা হলেন, একই গ্রামের মৃত ফকির চাঁদের ছেলে আরশাদ আলী (৬০), আলাউদ্দীন (৫০), আরশাদ আলীর ছেলে ইকতিয়ার হোসেন (৩০), আফসার আলীর ছেলে ইউনুস আলী (২৮), ডিহি গ্রামের সিফাত উল্লাহর ছেলে কাওসার আলী (৪৫) ও মোকলেস আলীর ছেলে আমিরুল ইসলাম (৩৭)।
গ্রামবাসী সূত্র জানায়, শুক্রবার দুপুরে কায়বা গ্রাম থেকে নৌকার প্রার্থী টিংকুর সমর্থক মিন্টুর বাড়ির গোয়াল ঘর থেকে ৩৭ পিছ বোমা উদ্ধার করে থানা পুলিশ। টিংকুর সমর্থকদের ধারণা, আনারস প্রতীকের আলতাফ হোসেনের কর্মীরা তার বাড়িতে বোমা রেখে পুলিশে খবর দিয়েছে। এরপর শনিবার রাত নয়টার দিকে নৌকা প্রতীকের সমর্থক খালেক, মিন্টু, আক্কাসসহ ৩০/৩৫ জন আনারস প্রতীকের নির্বাচনী অফিসে হামলা চালায়। এ সময় তারা আনারস প্রতীকের আরশাদ, আলাউদ্দীন, ইকতিয়ার ও আমিরুলকে উপর্যূপরি কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০ টার দিকে মারা যান কুতুব উদ্দিন।
এদিকে, একইদিন রাত সাড়ে নয়টার দিকে ডিহি ইউনিয়নে নৌকার অফিসে হামলা চালায় মেম্বর প্রার্থী রেজাউল ও মহিজন। এসময় নৌকা প্রতীকের কর্মী কাওসার ও আমিরুলকে কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
খুলনা গেজেট/ টি আই