খুলনা, বাংলাদেশ | ২২ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৭ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ও এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার

যশোরে একদিনে একই আদালতে ১৬ মামলার রায়

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোরের একটি আদালত একদিনে ১৬টি মামলার রায় ঘোষণা করেছে। এসময় পৃথক নয়টি মামলায় ১০ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করেছে আদালত। বাকি সাতটি মামলার রায় ঘোষণা করে সাতজনকে খালাস প্রদান করা হয়েছে। বুধবার যশোরের যুগ্ম দায়রা জজ শিমুল কুমার বিশ্বাস এ রায় ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি লতিফা ইয়াসমিন ও ভীম সেন দাস।

আদালত সূত্র জানায়, ২০০৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সকাল আটটা ৪৫ মিনিটে বেনাপোল পোর্ট থানার দীঘিরপাড় থেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বেনাপোল সার্কেলের সদস্যদের হাতে আটক হন ওই গ্রামের নুর হোসেনের ছেলে লিয়াকত হোসেন। এ সময় তার ঘরের খাটের নীচ থেকে ২০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় পরিদর্শক সালিমুল্লাহ বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। এ মামলায় পলাতক আসামি লিয়াকত হোসেনকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এদিকে, ২০০৬ সালের ২৩ অক্টোবর যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি বাজার থেকে বাগেরহাট সদর উপজেলার হরিণখানা গ্রামের সেলিম ফরাজীর ছেলে মোহাম্মদ আলামিনকে ৪০ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। এ ঘটনায় এসআই মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। এ মামলায় পলাতক আলামিনকে চার বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

২০১২ সালের ১ জুলাই যশোর শহরের হাইকোর্ট মোড় থেকে কোতোয়ালি থানা পুলিশের হাতে জাল টাকা ও তৈরির সরঞ্জামসহ আটক হয় ব্রা²ণবাড়িয়ার নবীনগরের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে হাসান আলী ও মাদারীপুর জেলার কাশিয়ানী উপজেলার পূর্ববালি গ্রামের মৃত দলিল উদ্দিনর ছেলে শাহ আলম ওরফে ইসহক। এ মামলায় পলাতক দু’ আসামির তিন বছরের সশ্রম কারদন্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এছাড়া, ২০১২ সালের ১৫ জুলাই যশোর শহরের রায়পাড়া থেকে রেলস্টেশন মাদ্রাসা থেকে ওই এলাকার কুরবান আলীর ছেলে জুম্মানকে দেড় লিটার বিলাতি মদসহ আটক করা হয়। এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের যশোর সদর সার্কেলের পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে মামলা করেন। এ মামলায় আদালত পলাতক আসামি জুম্মানকে দু’ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন।

২০০৮ সালের ২৯ অক্টোবর যশোর সদর উপজেলার আরবপুর ইউনিয়নের ধোপাখোলা গ্রাম থেকে ১০ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক হয় শার্শা উপজেলার কাগমারী গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে মজনু মিয়া। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানার এসআই খবির হোসেন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। এ মামলায় আদালত পলাতক মজনু মিয়ার এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড এক হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও একমাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন।

তিনটি চেক ডিজঅনার মামলায় তিন আসামির পৃথক সাজা ও অর্থদন্ড প্রদান করেছে একই আদালত। ঢাকার খিলক্ষেত এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে পলাতক এ.এস.এইচ.এম রব্বানীকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও চেকের ৮০ লাখ টাকা অর্থদন্ড, যশোর সদর উপজেলার ঘোষপাড়া গ্রামের জয়নাল আবেদিনের ছেলে পলাতক আসামি আমজাদ হোসেন কিরণকে নয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও চেকের চার লাখ ৩২ হাজার টাকা অর্থদন্ড এবং যশোর শহরের পুরাতন কসবা এলাকার কাজী রকিব হোসেনের ছেলে কাজী হাফিজুর রহমানকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও চেকের পাঁচ লাখ ৬০ হাজার আটশ’ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

এছাড়া একই আদালত আরও সাতটি মামলার রায় ঘোষণা করেন। এ সাত মামলায় সাত আসামিকে খালাস প্রদান করেছেন বিচারক।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!