সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণের জন্য ব্যালটপেপার,ব্যালট বক্সসহ নির্বাচনী সামগ্রী প্রতিটি কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (১০ নভেম্বর) দুপুর থেকে নির্বাচনী সামগ্রী প্রদান শুরু হয়। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারগণ নির্বাচনী সামগ্রী বুঝে নিয়েছেন। এদিকে,নির্বাচনী কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী নিয়োজিত রেখেছে প্রশাসন।
সদর উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৩টি ইউনিয়নে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১২৬টি। ভোট কক্ষের সংখ্যা ৭১৯টি এবং অস্থায়ী ভোট কক্ষের সংখ্যা ৫৫টি। সদর উপজেলায় ১৩ ইউনিয়নে মোট ভোটার দুই লাখ ৬৬ হাজার ৬৫৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৩৪ হাজার ২২৪ জন এবং নারী ভোটার এক লাখ ৩২ হাজার ৪২৯ জন।
নির্বাচন অফিস সূত্রে আরও জানা যায়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতিটি কেন্দ্রে একজন এসআইয়ের নেতৃত্বে ৪জন পুলিশ সদস্য ও দুজন সশস্ত্রসহ ১৭ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়া প্রত্যেক ইউনিয়নে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বরত থাকবেন। ১৩টি ইউনিয়নে ৫জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন। পাশাপাশি ৩ প্লাটুন বিজিবি সদস্য ও ৩ প্লাটুন র্যাব সদস্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করবেন।
জেলা নির্বাচন অফিসার নাজমুল হোসেন জানান, সুষ্টু নির্বাচনের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে। ভোটাররা যাতে তাদের ভোটাধিকার নির্বিঘেœ প্রদান করতে পারেন,তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়ন বাদে বাকি ১৩টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইউনিয়নগুলো হচ্ছে-বাঁশদহা, কুশখালি, বৈকারী, ঘোনা, শিবপুর, ভোমরা, ধুলিহর, ব্রহ্মরাজপুর, আগরদাড়ি, ঝাউডাঙ্গা, বল্লী, লাবসা ও ফিংড়ি। ১৩টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৬৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দ্বিতীয় ধাপের এই নির্বাচনে বিএনপি সরাসরি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেনা। তবে ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে বৈকারী, কুশখালী, শিবপুর, ফিংড়ী ও ধুলিহর ইউনিয়ন ব্যতিত বাকি ৯ ইউনিয়নে বিএনপির পদে থাকা দলীয় নেতা-কর্মীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদিকে, ব্রহ্মরাজপুর, লাবসা ও ভোমরা ইউনিয়ন বাদে বাকি ১০টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
খুলনা গেজেট/এএ