সরকার কর্তৃক গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি করায় বাস মালিক সমিতি তাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে গতকাল রবিবার (০৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে যাত্রীবাহী বাস চলাচল শুরু হয়েছে।
এদিকে ডিজেলের মূল্য পুনর্বিবেচনা সহ ৩ দফা দাবীতে কর্মবিরতি পালন করায় বেনাপোল থেকে সকল ধরনের পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে বেনাপোল বন্দরের সকল কার্যক্রম সহ আমদানী রফতানী প্রক্রিয়া স্বাভাবিক গতিতে চলছে।
জেলা বাস মালিক সমিতির সেক্রেটারি বাবলুর রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী পরিবহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। সরকারের সাথে কেন্দ্রীয় বাস মালিক সমিতির আলোচনা হয়েছে। আলাচনা ফলপ্রসু হওয়ায় আমাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা থেকেই সারা দেশে যাত্রীবাহী গণপরিবহন চলাচল শুরু করেছে।’
বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সেক্রেটারি আজিম উদ্দিন গাজি জানান, ‘আমাদের ঢাকা ট্রাক, ট্রাক লরি ওনার্স এসোসিয়েশন আমাদের জানিয়েছেন ডিজেলের মূল্য পুনর্বিবেচনা সহ ৩ দফা দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত কোন পণ্যবাহী ট্রাক রাস্তায় চলবে না। আমরা সে অনুয়ায়ী শুক্রবার থেকে কর্মবিরতী পালন করছি। বেনাপোল বন্দরে পণ্য লোড হচ্ছে । তবে ফেডারেশন থেকে কোন নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত কোন পণ্যবাহী ট্রাক বন্দর ছেড়ে যাবে না।’
তিন দফা দাবীগুলো হলো :
১. জ্বালানী তেলের লিটার প্রতি যা ১৫ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে তা পুনর্বিবেচনা করা।
২. যমুনা ও মুক্তাপুর সেতুর বর্ধিত টোল প্রত্যাহার।
৩.দেশের সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাগুলা পণ্য পরিবহন থেকে যে টোল নেয় তা বন্ধ করতে হবে।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবির তরফদার জানান, পণ্যবাহী ট্রাক ধর্মঘটের কারণে বেনাপোল বন্দর থেকে কোন পণ্যবাহী ট্রাক ছেড়ে যাচ্ছে না। বন্দর অভ্যন্তরে লোড-আনলোড প্রক্রিয়া সহ আমদানী রফতানী কার্যক্রম স্বাভাবিক নিয়মে চলছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই