যশোরের চৌগাছা উপজেলার মাড়য়া গ্রামের গৃহবধু তহমিনাকে হত্যার অভিযোগে স্বামীসহ চারজনকে আসামি করে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। সদর উপজেলার পদ্মবিলা গ্রামের মিন্টুর স্ত্রী নিহতের মা স্বপ্না বেগম বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগটি আমলে নিয়ে চৌগাছা থানায় এ সংক্রান্ত কোন মামলা আছে কিনা, সে বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন, মাড়য়া গ্রামের নিহতের স্বামী সাইফুল ইসলাম, শ্বশুর রমজান আলী, শাশুড়ি আলেয়া বেগম, ননদ শিলা বেগম।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, আসামি সাইফুল ইসলাম নয় বছর আগে তহমিনাকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের কয়েক বছর পর থেকে আসামিরা যৌতুকের দাবিতে তহমিনার উপর নির্যাতন শুরু করে। বিষয়টি জানতে পেরে তহমিনার পরিবার নগদ এক লাখ টাকা, একটি অ্যাপাচি মোটরসাইকেলসহ সংসারের যাবতীয় মালামাল কিনে দেয়া সাইফুলকে। এরপরও অন্যান্য আসামির প্ররোচণায় সাইফুল আরো দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে তহমিনাকে নির্যাতন করে আসছিল। গত ৫ আগস্ট রাতে আসামিরা তহমিনাকে যৌতুকের দাবিতে মারপিট করে হত্যার পর বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা গেছে বলে পরিবারকে জানায়। পরদিন তার পিতা-মাতা তহমিনার শ্বশুর বাড়ি গিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী ও আসামিদের চাপে থানায় অভিযোগ ছাড়াই বিনা ময়নাতদন্তে আসামিদের পারিবারিক কবরস্থানে তহমিনাকে দাফন করা হয়। এরপর তিনি শনিবার আদালতে এ মামলা দায়ের করেছেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই