যশোরে যৌতুকের দাবিতে সাবিনা খাতুন (২৬) নামে এক গৃহবধূকে মারপিট করে হত্যা করার পর মরদেহ ঘরের আড়র সাথে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। সদর উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নের তপসীডাঙ্গা গ্রামে এ হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটেছে। নিহত সাবিনা তপসীডাঙ্গা গ্রামের সেলিম হোসেনের স্ত্রী ও মাহিদিয়া গ্রামের আক্কাস গাজীর মেয়ে।
মেয়ের চাচা ওলিয়ার গাজী অভিযোগ করে বলেন, ছয় বছর আগে সেলিমের সাথে সাবিনার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় আমরা প্রচুর টাকা খরচ করে মেয়েকে বিয়ে দিই। মেয়ের দাম্পত্য জীবনে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। জামাই সেলিম প্রায়ই তাদের কাছে নগদ টাকা যৌতুক দারি করতো। এ টাকা দিলে মেয়ের সাথে ভালো ব্যাবহার করতো এবং না দিলে শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতো।
কয়েকদিন আগে ১০ হাজার টাকা নিয়েছে ইট কেনার জন্য। এরপর ঘরের ছাদ দিতে এক লাখ টাকা দাবি করে। মেয়ে সাবিনা টাকা দিতে অস্বীকার করায় বুধবার বিকালে সেলিম তাকে মারপিট করে। এক পর্যায় তাকে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে হত্যাকাণ্ডকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে মরদেহ ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ওলিয়ার গাজী জানান, সাবিনার পিঠে, কপালে, গলায় ও মাথায় আঘাতের চিহৃ রয়েছে। এটা পরিকল্পিত হত্যা বলে তিনি দাবি করেন।
এ ব্যাপারে যশোরের চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচাজ ইন্সপেক্টর শহিদুল ইসলাম বলেন, এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা পুলিশ বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
খুলনা গেজেট/এএ