যশোরে মাদক মামলায় বৃদ্ধা এক নারীর তিন বছরের কারাদন্ড প্রদান করে প্রবেশনে মুক্তি দিয়েছেন আদালত। বুধবার অতিরিক্ত জেলা জজ আবু বকর সিদ্দিক সাত শর্তে এ আদেশ দেন।
শর্ত মেনে প্রবেশন কর্মকর্তার অধীনে থেকে বাড়িতেই তার সাজা ভোগ করতে হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের এপিপি নজরুল ইসলাম বকুল ও আসামি পক্ষের আইনজীবী কাজী মসরুল মুর্শীদ বাপী।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ২ এপ্রিল দুপুর সাড়ে ১২ টায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে শার্শা উপজেলার বাগুড়িয়া বেলতলা গ্রামের অজিবর রহমান ও তার স্ত্রী সুফিয়া বেগম আটক হন। এসময় তাদের বাড়ি থেকে ১০ গ্রাম হোরোইন উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় বেনাপোল সার্কেলের পরিদর্শক লোকমান হোসেন বাদী হয়ে স্বামী ও স্ত্রীকে আসামি করে শার্শা থানায় মামলা করেন। মামলা চলাকালীন মৃত্যুবরণ করেন অজিবর রহমান। অপর আসামি সুফিয়া বেগম আদালতে নিয়মিত মামলার হাজিরা দিয়ে যান।
বুধবার মামলার রায় ঘোষণার দিনে আদালত আসামিকে তিন বছরের কারদন্ড দিয়ে প্রবেশনে মুক্তি দেন। মুক্তির অন্যতম শর্তগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, আসামি অক্ষরজ্ঞানহীন হওয়ায় নিজ এলাকার বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্রে ভর্তি হয়ে শিক্ষা গ্রহণ করবেন। নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় ৫টি ফলজ ও ৫টি বনজ বৃক্ষরোপণ করবেন ও নিজ ধর্মের প্রতি অনুগত থেকে ধর্মীয় অনুশাসনের মধ্যে জীবন যাপন করবেন।
অন্য শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে, নিজ বাড়িতে প্রবেশন কর্মকর্তার অধীনে থাকতে হবে। সৎ ও শান্তিপূর্ন জীবন যাপন করতে হবে। কোনো প্রকার অপরাধের সাথে জড়ানো যাবে না। মাদকের সংস্পর্শে যাওয়া যাবে না। দেশত্যাগ করতে পারবেন না ও ট্রাইবুন্যাল কিংবা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তলব করলে সাথে সাথে হাজির হতে হবে। এসব আদেশ অমান্য করলে তাকে সাজাভোগ করতে বাধ্য থাকতে হবে।
খুলনা গেজেট/ এস আই