সাতক্ষীরার তালায় উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন জাতের শিম। আগাম শিমের ভালো দাম পেয়ে লাভবান হচ্ছেন এ উপজেলার কৃষকরা। এশিমের আবাদ কৃষকদের কাছে আইরেট শিম চাষ নামে পরিচিত।
তালা উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে সরজমিনে দেখা যায়, বেসরকারি এনজিও উন্নয়ন প্রচেষ্টার কারিগরী সহায়তায় নিরাপদ পদ্ধতিতে সবজি উৎপাদনে কেরালা জাতীয় শিম চাষ করা হচ্ছে। এছাড়া ঘেরের আইল এবং রাস্তার দু’ধারে শিম গাছের দীর্ঘ সারি। সবুজ পাতার মধ্যে লকলক করছে সিমের শীষ। আর শীষে ধরে আছে বেগুনি ও হালকা সাদা ফুল। আর কিছু কিছু শীষে উঁকি দিচ্ছে তরতাজা সিম।
ইসলামকাটি ইউনিয়নের শিমচাষী ইদ্রিস হোসেন বলেন, ‘আগাম শিম চাষ করে বেশ ভালো দাম পাচ্ছি। প্রতিকেজি শিমের মূল্য বর্তমান ৮০ থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি করছি। ফলে অন্য সময়ের তুলনায় এসব হাইব্রিড জাতের শিম কৃষকদের আরো লাভবান করে তুলছে।’
গোপালপুরের চাষী গণি শেখ বলেন, ‘বর্তমান আমাদের চাষী শিমগুলো বিক্রি করছি অনেক দামে। বাজারে শিমের পরিমাণ কম হওয়ায় দামও তুলনামূলক বেশি পাচ্ছি।’
উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পিজুষ কান্তি পাল জানান, মাঠ পর্যায় থেকে আগাম বিভিন্ন সবজি উৎপাদনে কৃষকদের তারা সহায়তা করে যাচ্ছে। হাইব্রিড জাতের আইটেক, কেরেলা এসব শিম কৃষকরা আগাম চাষ করায় ভালো দাম পাচ্ছে। এসব শিম বিশেষ করে ঘেরের আইল এবং রাস্তার ধারে ভালো ফলন দিচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন জানান, উপজেলায় ৮৫ হেক্টর জমিতে সিমের চাষ করছে কৃষকরা। তবে এর বাইরেও বেসরকারিভাবে বেশকিছু সিম চাষ করা হচ্ছে। বিশেষ করে তালা উপজেলার এবছর বিভিন্ন জাতের হাইব্রিড সিমের আগাম ফলন হয়েছে। যা থেকে কৃষকরা ভালো দাম পাচ্ছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই