যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সেকশন অফিসার বিপ্লব হোসেনের বিরুদ্ধে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবির অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেছেন তার স্ত্রী সুমাইয়া ইয়াসমিন।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামির প্রতি সমন জারির আদেশ দিয়েছেন। অভিযুক্ত বিপ্লব হোসেন সদর উপজেলার হালসা গ্রামের আবু মুছার ছেলে। এরআগে সুমাইয়া তার স্বামীর বিরুদ্ধে ভ্রমণ হত্যার অভিযোগে মামলা করেন।
সুমাইয়া ইয়াসমিন মামলায় বলেছেন, আসামি বিপ্লব হোসেন তার কাছে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেছিলেন। কিন্তু তিনি যৌতুক দিতে অস্বীকার করায় গত ৯ অক্টোবর রাতে বিপ্লব হোসেন নিজ পিতামাতার উপস্থিতিতে ও সহায়তায় তাকে মারধর করেন। এমনকি তার গর্ভের সন্তান হত্যার চেষ্টা চালায়। পরে তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তিনি প্রাণে রক্ষা পান। এ ঘটনার পর তিনি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
গত ২২ অক্টোবর বিকেলে আসামি বিপ্লব হোসেন তার (সুমাইয়া ইয়াসমিন) বাহাদুরপুরের পিতার বাড়িতে যান। সেখানে এক শালিসে যৌতুকের টাকা পরিত্যাগ করে সুমাইয়া ইয়াসমিনকে নিয়ে ঘরসংসার করার জন্য বিপ্লবকে অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু যৌতুকের দুই লাখ টাকা না পেলে স্ত্রীকে নিয়ে তিনি সংসার করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। বাধ্য হয়ে সুমাইয়া আদালতে মামলার আশ্রয় নেন।