চুয়াডাঙ্গায় দুই নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে ৪ অক্টোবর দুই আসামির ফাঁসির প্রস্তুতি চলছে। বিষয়টি যশোর কারাগারের কর্মকর্তা, চুয়াডাঙ্গা আদালতের সূত্র ও আসামির পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ইতিমধ্যে আইনগত সকল কাজ শেষ হয়েছে। ৪ অক্টোবর রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হবে বলে সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।
আসামিরা হলেন, রায়ের লক্ষীপুর গ্রামের আলী হিমের ছেলে মিন্টু ওরফে কালু ও একই এলাকার বদর ঘটকের ছেলে আজিজ ওরফে আজিজুল।
চুয়াডাঙ্গা আদালত সূত্র ও মামলার বিবরণীতে জানা যায়, আলমডাঙ্গা থানার জোরগাছা হাজিরপাড়া গ্রামের কমেলা খাতুন ও তার বান্ধবী ফিঙ্গে বেগম ২০০৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর খুন হন। হত্যার আগে তাদের দু’জনকে ধর্ষণ করা হয় বলে পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধের পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলা কাটা হয় ওই দুই নারীকে। এ ঘটনায় নিহত কমেলা খাতুনের মেয়ে নারগিস বেগম খুনের পরদিন আলমডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ওই দু’জনসহ চারজনকে আসামি করা হয়। অপর দু’জন হলো, একই গ্রামের সুজন ও মহি। মামলা বিচারাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে আসামি মহি।
২০০৭ সালের ২৬ জুলাই চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত সুজন, আজিজ ও মিন্টুকে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন। পরে ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি শেষে হাইকোর্ট তা বহাল রাখেন। চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ দুই আসামির রায় বহাল রাখেন এবং অপর আসামি সুজনকে খালাশ প্রদান করেন। গত ২০ জুলাই যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান সুজন। সম্প্রতি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন নাকচ হয়ে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে দুই আসামির ফাঁসির আদেশ আসে।
এদিকে, যশোর কারাগারের একটি সূত্র বলেছে, ফাঁসির জন্য কারাগারের জল্লাদ মশিয়ার, কেতু কামালসহ বেশ কয়েকজনের প্রশিক্ষণ চলছে। এছাড়া ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুতসহ ইতিমধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ হয়েছে বলে ওই সূত্রটি নিশ্চিত করেছে।
এ বিষয়ে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলর তুহিন কান্তি খান বলেন, আগামি মাসের প্রথম সপ্তাহে হত্যা মামলার দু’আসামির ফাঁসি হওয়ার কথা রয়েছে। এ বিষয়ে আর কিছু বলতে তিনি রাজি হননি।
খুলনা গেজেট/এনএম