সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ১১ জনের করোনা পজেটিভ সনাক্ত হয়েছে। এ সময় মোট ১৮৮ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এর আগের দিও শনাক্তের হার ছিল ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ। তবে গত ২৪ ঘন্টায় জেলা কেউ মারা যায়নি।এদিকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৮৮ জন এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন মোট ৬৫২ জন।
সামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে ৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট ৭৭ জন রোগী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ১ জন করোনা পজেটিভ ও বাকি ৭৬ জন সাসপেক্টেড। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৯ জন ও সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১৭ জন। নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি আছে ৬ জন।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন সাফায়াত জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে কেউ মারা যায়নি। এ সময় সাতক্ষীরা সামেক হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে ১৮৮ নমুনা পরীক্ষা করে ১১ জনের করোনা পজেটিভ সনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সামেক হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে ৯৪ টি নমুনা পরীক্ষা কওে ৪ জনের ও সদর হাসপাতাল সহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে র্যাপিড এন্টিজেন কীটে ৯৪ টি নমুনা পরীক্ষা করে আরো ৭ জনের করোনা পজেটিভ সনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
তিনি আরো বলেন, ৬ সেপ্টম্বর পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৭১৩ জন। জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ১০৪ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ্য হয়েছে ২২ জন। বর্তমানে জেলায় করোনা রোগী রয়েছে ৫২১ জন। এরমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীর সংখ্যা ১২ জন। বাড়িতে হোম আইসোলেশনে আছেন ৫০৯ জন। জেলায় ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে ৮৮ জন এবং উপসর্গে মারা গেছেন আরো ৬৫২ জন।
সিভিল সার্জন আরো জানান, গত ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলায় ৮৫ হাজার ৯১২ জন এস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন। আর দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৭৯ হাজার ৮৮৮ জন। এদিকে সেনোফর্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৬২২ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ২৮ হাজার ৫৫৯ জন। জেলায় বর্তমানে সেনোফর্ম ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ভ্যাকসিন প্রাপ্তি সাপেক্ষে আবার ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে তিনি জানান।
খুলনা গেজেট/কেএম
