খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ মাঘ, ১৪৩১ | ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  আজ সকাল থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু

১৫ আগস্ট বাঙালী জাতির জন্য অত্যন্ত শোকাবহ একটি দিন : মেয়র

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে যথাযথ মর্যাদায় রবিবার স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে নগর ভবনে পবিত্র কোরআনখানি, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন (জুম এ্যাপের মাধ্যমে) সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র বলেন, ১৫ আগস্ট বাঙালী জাতির জন্য অত্যন্ত শোকাবহ একটি দিন। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের মহান স্থপতি, বাঙালি জাতির পিতা, স্বাধীনতার ঘোষক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’কে ১৯৭৫ সালের এই দিনে স্বাধীনতা যুদ্ধের পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্রে নির্মমভাবে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়।

সিটি মেয়র পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন অবদানের কথা তুলে ধরে বলেন, যে আশা-আকাঙ্খা নিয়ে পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টি হয়েছিল, পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালীদের প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের বৈষম্যমূলক আচরণে সে আশা ভঙ্গ হয় এবং সকল বৈষম্যমূলক কাজে বঙ্গবন্ধু প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠেন। বাংলার জনগণের প্রতি পাকিস্তান সরকারের বৈষম্যমূলক আচরণ বন্ধে ১৯৬৬ সালে বঙ্গবদ্ধু ঐতিহাসিক ৬ দফা পেশ করেন। ৬ দফা কেন্দ্রিক আন্দোলন ১৯৭১ এ এসে রূপ নেয় স্বাধীনতা সংগ্রামে। ৭১’র ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানের বিশাল জনসভায় তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং ৯মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ্ব পরিমন্ডলে আত্মপ্রকাশ করি।

তিনি বলেন, যুদ্ধবিদ্ধস্ত স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার গঠনের পর বঙ্গবন্ধু দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা, ভূমি ব্যবস্থাপনা, ভারত ফেরত এক কোটি নাগরিকদের পুনর্বাসন করাসহ বহু কাঙ্খিত সংবিধান প্রণয়ন করেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশ হিসেবে তিনি দেশে মদ ও জুয়া নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি ইসলামের প্রচার ও প্রসারে প্রতিষ্ঠা করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়নের পাশাপাশি বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বধীন বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বলে তিনি উল্লেখ করেন। আগামী প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্বুদ্ধ করতে শিশুদের অংশগ্রহণে প্রতিবছর এই দিনে যে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় করোনা সংক্রমণের কারণে সে আয়োজন সম্ভব না হওয়ায় সিটি মেয়র দুঃখ প্রকাশ করেন।

কেসিসি’র ক্রীড়া ও সংস্কৃতি স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর এস এম মোজাফফর রশিদী রেজা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন মেয়র প্যানেলের সদস্য মো: আলী আকবর টিপু ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো: আজমুল হক। অন্যান্যের মধ্যে কাউন্সিলর মো: আব্দুর রাজ্জাক, মো: সাইফুল ইসলাম, শেখ মোহাম্মদ আলী, শেখ শামসুদ্দিন আহম্মেদ প্রিন্স, মো: ডালিম হাওলাদার, মো: মাহফুজুর রহমান লিটন, মো: মনিরুজ্জামান, মো: আনিছুর রহমান বিশ্বাষ, শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ, ইমাম হাসান চৌধুরী ময়না, জেড এ মাহমুদ ডন, মো: আরিফ হোসেন মিঠু, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর মনিরা খাতুন, সাহিদা বেগম, আমেনা হালিম বেবী, মাহমুদা বেগম, রেক্সনা কালাম লিলি, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো: মনোয়ার হোসেন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. একেএম আব্দুল্লাহ, বাজেট কাম একাউন্টস অফিসার মো: হাফিজুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান, প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবির উল জব্বার, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. স্বপন কুমার হালদার, ভেটেরিনারী অফিসার মো: রেজাউল করিম, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নাজিবুল আলম, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা এসকেএম তাছাদুজ্জামানসহ সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কেসিসি পরিচালত মক্তবসমূহের শিক্ষকবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ১৫ আগস্ট নিহতদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাওলানা নাসির উদ্দিন কাশেমী।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!