সাতক্ষীরার আশাশুনিতে ষষ্ঠ শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধরায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে গ্রেপ্তারকৃত মোস্তাফিজুর রহমান। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে তিনটায় সাতক্ষীরার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম প্রথম আদালতের বিচারক ইয়াসমিন নাহারের কাছে এ জবানবন্দি দেয় সে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামী মোস্তফিজুর রহমান সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের কলিমাখালি খোলারাটি গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, আশাশুনির প্রতাপনগর ইউনিয়নের হিজলিয়া গ্রামের ষষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রী গত শনিবার বিকেলে আব্দুল্লাহ স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফিরছিল। পথিমধ্যে বৃষ্টি হওয়ায় মাড়িয়ালা মোড়ে মোস্তাফিজুরের মুদী দোকানের সামনে সে অবস্থান নেয়। বর্ষার সময় সেখানে কেউ না থাকার সুযোগে দোকানের মধ্যে ডেকে নিয়ে শার্টার নামিয়ে দিয়ে তাকে ধর্ষণ করে মোস্তাফিজুর।
এ ঘটনায় সোমবার ভুক্তভোগীর মা বাদি হয়ে মোস্তাফিজুরের নাম উল্লেখ করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। তবে মঙ্গলবার পর্যন্ত সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভুক্তভোগীর ডাক্তারি পরীক্ষা ও আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়নি।
মঙ্গলবার বিকেলে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি শেষে মোস্তাফিজুর সাংবাদিকদের জানায়, সে ঢাকার একটি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। মেয়েটির সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাই সে মেয়েটির ইচ্ছাতেই শারীরিক সম্পর্ক করেছে।
সাতক্ষীরা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক অমল কুমার রায় মোস্তাফিজুরের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খুলনা গেজেট/এনএম