খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  কক্সবাজারের টেকনাফ সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
  সাবেক আইজিপি মামুনের ফের ৩ দিনের রিমান্ড

আশাশুনিতে ব্রীজের উপর থেকে শিশুকে ফেলে দেয়ার ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের গুনাকরকাটি ব্রীজের উপর থেকে ছুড়ে ফেলে নবজাতক কন্যা শিশুকে হত্যার ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। কুল্যা ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাসেত আল হারুন চৌধুরী বাদি হয়ে ১৫ জুলাই বিকালে কারো নাম উল্লেখ না করে থানায় এই হত্যা মামলা দায়ের করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রসবের পর অজ্ঞান মায়ের কোল থেকে সদ্যজাত শিশুটিকে নিয়ে ব্রীজের উপর থেকে হত্যার উদ্দেশ্যে চরের কাদা পানিতে ছুড়ে ফেলে দেয় দীপিকা মন্ডলের শ্বশুর কার্তিক মন্ডল। শিশুটি ছিল কন্যা সন্তান ও অসুস্থ তাই তাকে উন্নত চিকিৎসার নামে সাতক্ষীরায় নিয়ে যাবার কথা বলে সোমবার (১২ জুলাই) রাতের কোনো এক সময় নির্মমভাবে ছুড়ে ফেলে দেয়া হয়। সকালে স্থানীয় কুল্যা ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাসেত আল হারুন চৌধুরীর সহযোগিতায় গুরুতর আহত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করালে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে মারা যায়।

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, কন্যা শিশুটির মায়ের নাম দীপিকা মন্ডল। তার স্বামীর নাম মৃন্ময় মন্ডল। মৃন্ময় মন্ডলের বাবার নাম কার্তিক মন্ডল। আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনয়নের ফকরাবাদ গ্রামে তাদের বাড়ি। তারা দু’জনেই পেশায় দর্জি। অন্ত:সত্ত্বা হওয়ার পর থেকে দীপিকা ছিলেন আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা বাজারের জনসেবা ক্লিনিকের কেয়ারে। প্রসব যন্ত্রণা শুরু হলে তাকে ভর্তি করা হয় ওই ক্লিনিকে। সিজার অপারেশনের মাধ্যমে সোমবার সন্ধ্যায় তিনি একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। সন্তান প্রসবের পর মা দিপীকা মন্ডল যখন অচেতন তখনই তার কাছ থেকে সদ্যজাত শিশুটিকে চিকিৎসার নাম করে নিয়ে যায় দিপীকার শ^শুর কার্তিক মন্ডল। ভোর রাতেই শিশুটিকে কুল্যা ইউনিয়নের গুনাকরকাটি ব্রীজের উপর থেকে ছুড়ে ফেলে দেয়া হয় নিচে। শিশুটি কন্যা সন্তান হওয়ায় তিনি একাজ করেছেন বলে ধারনা গ্রামবাসীর।

এদিকে জ্ঞান ফেরার পর দিপীকা তার সন্তানকে খুঁজতে থাকেন। এসময় তাকে বলা হয়, চিকিৎসার জন্য তাকে সাতক্ষীরায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দিপীকা বলেন, আমি আমার সন্তানটির মুখ দেখতেও পারিনি।

আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ গোলাম কবির জানান, কুল্যা ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাসেত আল হারুন চৌধুরী বাদি হয়ে কারো নাম উল্লেখ না করে থানায় এই হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। শিশুটির ডিএনএ নমুনা রাখা হয়েছে। এঘটনার পর থেকে গৃহবধূ দীপিকা মন্ডলের স্বামী মৃন্ময় মন্ডল ও শ্বশুর কার্তিক মন্ডল দু’জনেই গা ঢাকা দিয়েছে। ঘটনার জন্য দায়ি ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!