লকডাউন চলাকালে প্রশাসন মাঠে থাকায় কিছুটা গোপনে কারবার চালালেও আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে আট দিনের জন্য লকডাউন শিথিল করার সাথে সাথে যশোরের মণিরামপুর পৌর এলাকাসহ উপজেলার অর্ধ-শতাধিক স্পটে মাদক কারবারীরা প্রকাশ্যে মাথাচাঁড়া দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অনেক কারবারী প্রকাশ্যে মাদকসেবীদের সামনে বলছে, সামনে ঈদ লকডাউন শিথিলের আট দিনে পূর্বের ক্ষতি পুষিয়ে নেব।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানাযায়, পৌর শহরের পাবলিক লাইব্রেরী সংলগ্ন হরিহর নদীর তীরে, তাহেরপুর মহা-শশ্মান এলাকায়, মোহনপুর বাদামতলা ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায়, দূর্গাপুর মুরগী-হাটা মোড় এবং গরুহাট এলাকাসহ অন্তত ২৫/৩০ স্পটে গাঁজা ও স্প্রিট কারবারীরা ইতিপূর্বের ন্যায় প্রকাশ্যে তাদের কারবার শুরু করেছে।
এসব স্পটে স্থানীয় মাদকসেবীদের পাশাপাশি বহিরাগত কারবারী এবং মাদক ক্রেতারা জড় হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। মহামারী করোনাকালীন সময়ে এসমস্ত মাদক স্পটের মধ্যে পাবলিক লাইব্রেরী সংলগ্ন হরিহর নদীর তীরে বসবাসকারী মাদক কারবারী সেলিমকে কয়েকদিন আগে পুলিশ মাদকসহ আটক করে। সেলিম আটক হলেও তাদের দুই পরিবারের অন্যান্য কারবারীরা ইতিপূর্বের ন্যায় তাদের কারবার চালিয়ে যাচ্ছে।
গরুহাট ও দূর্গাপুর মুরগী-হাটা মোড় এলাকার কয়েকজন মাদক কারবারী প্রকাশ্যে বলে বেড়াচ্ছে, লকডাউন শিথিলের এই আট দিন পূর্বের ক্ষতি পুষিয়ে নেব। শুধু পৌর এলাকা নয়, উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট-বাজারসহ মাদক খ্যাত স্পটগুলোতে মাদক কারবারীরা লকডাউন শিথিলের সুযোগ নিয়ে তাদের কারবার শুরু করেছে বলে অভিযোগ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কলেজ শিক্ষকসহ স্থানীয় অনেকেই জানান, লকডাউনের কারণে প্রশাসন মাঠে থাকায় পৌর শহরের কয়েকজন দাগী মাদক কারবারী তাদের কারবার কিছুটা গোপনে চালাচ্ছিল। কিন্তু ঈদ উপলক্ষ্যে লকডাউন শিথিল হওয়ায় তারা পুনরায় মাথাচাঁড়া দিয়ে পূর্বের ন্যায় কারবার শুরু করেছে।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি