খুলনা, বাংলাদেশ | ২২ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৫ মে, ২০২৪

Breaking News

  আজ খুলছে সব স্কুল-কলেজ
  রাতভর জ্বলছে সুন্দরবন, দেড় কি.মি. এলাকাজুড়ে আগুন

শুরু হলো পবিত্র রমজান মাস, আজ প্রথম রোজা

নিজস্ব প্রতিবেদক

রহমত, মাগফেরাত ও মুক্তির বার্তা নিয়ে মুমিনের দুয়ারে হাজির পবিত্র মাহে রমজান। গতকাল পশ্চিম আকাশে উদিত হয়েছে ১৪৪৫ হিজরির রমজান মাসের চাঁদ। তারাবি ও সেহরির মাধ্যমে শুরু হয়েছে রোজার আনুষ্ঠানিকতা। আজ প্রথম রোজা রাখছে দেশের মানুষ।

চান্দ্র বর্ষের সেরা মাস রমজান। কারণ এই মাসে মহান প্রভু অফুরন্ত রহমত ও শান্তির বারিধারা বর্ষণ করেন। তাঁর নেয়ামতের বিশাল ভান্ডার খুলে দেন। অগণিত বান্দাকে মাফ করে দেন। মুক্তির সুসংবাদ পৌঁছে দেন মুমিনের দুয়ারে দুয়ারে। সিয়াম সাধনা মানুষকে পরিশুদ্ধ ও পবিত্র করে। এই মাস মুক্তি ও সফলতা লাভের অনন্য সুযোগ এনে দেয়।

রোজার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাদের বহুমুখী কল্যাণের সন্ধান দেন। মানুষের গতিপথ বিভ্রান্ত করার জন্য অভিশপ্ত শয়তান সারাক্ষণ পাঁয়তারায় লিপ্ত। তবে রমজানের চাঁদ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে শয়তানকে বন্দি করে দেওয়া হয়। শয়তানের কুমন্ত্রণা দ্বারা বিভ্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। রমজানে মানবতার প্রত্যাশিত ঠিকানা জান্নাতের দুয়ার খুলে দেওয়া হয়। আর অভিশপ্ত জাহান্নামের দুয়ার দেওয়া হয় বন্ধ করে। যারা জীবনের স্রোতধারা সঠিক পথে প্রবাহিত করতে চান, তাদের জন্য রমজানের চেয়ে আশীর্বাদ আর কিছু হতে পারে না।

হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী, এই মাসের নফল কাজগুলো ফরজের মর্যাদা পায়, আর ফরজ কাজগুলো সত্তর গুণ অধিক মর্যাদা পায় (বায়হাকি)। রমজান মাস এলে আকাশের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়, সৎ পথে চলার পথ সহজ হয়ে যায়, শয়তানকে শিকলে আবদ্ধ করা হয় (বুখারি ও মুসলিম)। অন্যায় ও পাপ কাজ থেকে দূরে থাকতে রোজা ঢালস্বরূপ। যে ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখবে তাঁর অতীত ও বর্তমানের সব গোনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে বলে হাদিসে উল্লেখ আছে।

রমজানের প্রতিটি মুহূর্ত মহান আল্লাহর বিশেষ রহমতে পরিপূর্ণ। এ সম্পর্কে নবী করিম (সা.) বলেন, ‘আর এটি এমন একটি মাস, যার প্রথম ভাগে আল্লাহর রহমত, মধ্যভাগে গোনাহের মাগফেরাত এবং শেষ ভাগে দোজখের আগুন থেকে মুক্তিলাভ রয়েছে (মিশকাত)।’ এসব সুসংবাদ কেবল তাদের জন্যই, যারা মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য রমজানের পূর্ণ একটি মাস রোজা পালন করেন, নিজেদের ইবাদত-বন্দেগিতে নিয়োজিত রাখেন। রোজাদার ব্যক্তিরাই দুনিয়া ও আখিরাতে সফলকাম।

রোজা আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় ইবাদত। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, রোজা ছাড়া আদম সন্তানের প্রতিটি কাজই তাঁর নিজের জন্য, কিন্তু রোজা আমার জন্য। তাই আমি নিজেই এর প্রতিদান দেব (বুখারি শরিফ)। রোজার দ্বারা খোদাভীতির যে পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করা হয় তা অন্য কোনো ইবাদতে সম্ভব নয়।

রোজাদারকে আল্লাহ তায়ালা ভালোবাসেন। তবে রোজার দ্বারা আল্লাহর সান্নিধ্য ও কৃপা তখনই লাভ করা সম্ভব হবে, যখন রোজা হবে নিখাদ; একমাত্র আল্লাহর জন্যই নিবেদিত। রোজার প্রতিটি মুহূর্ত যখন আল্লাহর নির্দেশনা অনুযায়ী পালিত হবে, তখনই এর পূর্ণ ফয়েজ ও বরকত লাভে ধন্য হওয়ার আশা করা যাবে। এ জন্য রোজাদারকে সার্বক্ষণিক লক্ষ্য রাখতে হবে আল্লাহর নির্দেশনার দিকে। শরিয়তের বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে প্রতিটি ধাপে।

 

খুলনা গেজেট/এইচ




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!