খুলনা, বাংলাদেশ | ১১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ২৫ মে, ২০২৪

Breaking News

  আজ দুপুরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে রেমাল, আঘাত কাল রাতে

শাহপুর-ফুলতলা সড়কটি খানা খন্দে পরিণত, জনদুর্ভোগ চরমে

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার শাহপুর-ফুলতলা সড়কে ইট-খোয়া উঠে বড় বড় খানা খন্দে পরিণত হয়েছে। যানবাহন ও লোক চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ায় দিন দিন বাড়ছে জনদুর্ভোগ ও দূর্ঘটনা। এ যেন দেখার কেউ নেই? তবে কর্তৃপক্ষ বলছে দ্রুত এ সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, সড়ক ও জনপথ বিভাগের খুলনা জেলার আওতাধীন ডুমুরিয়ার মিকশিমিল ভায়া শাহপুর-ফুলতলা সড়ক তৎকালীন এলাকাবাসীর দাবিতে প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাউদ্দিন ইউসুফের প্রচেষ্টায় পাকাকরণ করা হয়। উপজেলার বাণিজ্যিক উপশহর নামে খ্যাত শাহপুরে রয়েছে সরকারি দুটি কলেজ, সরকারি বেসরকারি ছয়টি ব্যাংক, একাধিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, পশুহাট, মৎস্য আড়তসহ বহু এনজিও প্রতিষ্ঠান। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন স্কুল কলেজ মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থী, চাকুরিজীবী, ভ্যানগাড়ি, মোটরসাইকেল, মাহেন্দ্র, বাস, ট্রাকসহ ভারী যানবাহন চলাচল করে থাকে। সম্প্রতি এ সড়কটির একাধিক স্থান ভেঙে ও খোয়া উঠে বড় বড় গর্ত ও খানা খন্দে পরিণত হয়েছে। এর মধ্যে শাহপুর বাজার হতে ঋষিপাড়া মোড় পর্যন্ত প্রায় তিনশত মিটার সড়ক মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।

জায়গাটির পিচ খোয়া উঠে বড় বড় গর্ত এমনকি বৃষ্টি হলেই সড়কে জমে পানি। এতে যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা জনসাধারণ পায়ে হেঁটেও চলতে পারে না। ফলে প্রতিনিয়ত ঝুঁকিপূর্ণ এ সড়কে দূর্ঘটনা ঘটেই থাকে। তাছাড়া চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হ‌ওয়ায় যানবাহন ও পথচারিরা বিকল্প রাস্তা হিসেবে প্রায় আধা কিলোমিটার ঘুরে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য অন্য রাস্তা ব্যবহার করে আসছে।

এ ব্যাপারে ব্যবসায়ী সমাজসেবক আঃ রব আকুঞ্জি, চা দোকানি শান্ত গাজী, টাইলস ব্যবসায়ী রবিউল গোলদারসহ একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা হয়। তারা বলেন, বৃষ্টি হলে ভাঙ্গা রাস্তাটি তলিয়ে যায় আর এ সময় লোক চলাচল কমে যাওয়ায় সে কয়দিন আমাদের দোকানে বেচাকেনাও কম হয়ে যায়। এছাড়াও গত সপ্তাহে ঝুঁকিপূর্ণ এ সড়কে গরু বোঝাই ট্রাক উল্টে ২/৩টি গরু মারা যাবার ঘটনাও ঘটেছে।

তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে আর‌ও বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটির এ বেহাল দশা যেন দেখার কেউ নেই? জনদুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারের জন্য জোর দাবি জানান তারা।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের খুলনা নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আনিসুজ্জামান মাসুদ বলেন, বিষয়টি আমার জানা আছে এবং মেরামতের জন্য বরাদ্দ চেয়ে উর্ধ্বতন মহলে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!