জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ বলেছেন, শান্তি আন্দোলনের প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আগ্রহী ছিলেন বরাবরই। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের সময় তিনি ছিলেন কারাগারে। মুক্তি পান ১৯৫২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি। ওই বছরই অক্টোবরে চীনে অনুষ্ঠিত হয় ‘পিস কনফারেন্স অফ দ্য এশিয়ান অ্যান্ড প্যাসিফিক রিজিওনস’। বঙ্গবন্ধু ওই সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন আরও কয়েকজনের সঙ্গে। ১৯৫৬ সালের ৫-৯ এপ্রিল স্টকহোমে বিশ্ব শান্তি পরিষদের সম্মেলনেও যোগ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু বলেছেন, ‘বিশ্ব শান্তি আমার জীবনের মূলনীতি। নিপীড়িত, নির্যাতিত, শোষিত ও স্বাধীনতাকামী সংগ্রামী মানুষ, যেকোনো স্থানেই হোক না কেন, তাঁদের সঙ্গে আমি রয়েছি। বঙ্গবন্ধুর সরকারের দৃঢ় অবস্থান ছিল কোনো সামরিক জোটে যোগ না দেয়া। তিনি স্পষ্ট করে বলেছিলেন, ‘ সামরিক জোটগুলোর বাইরে থেকে সক্রিয় নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতি আমরা অনুসরণ করে চলেছি।’ ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর চিলির রাজধানী সান্তিয়াগোয় বিশ্ব শান্তি পরিষদের প্রেসিডেন্সিয়াল কমিটির সভায় বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলন এবং বিশ্ব শান্তির সপক্ষে বঙ্গবন্ধুর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রদানের জন্য শান্তি পরিষদের মহাসচিব রমেশ চন্দ্র প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। বিশ্বের ১৪০ দেশের শান্তি পরিষদের ২০০ প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।জুলিও কুরি হচ্ছে বিশ্ব শান্তি পরিষদের একটি সম্মানজনক পদক।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে ২৩ মে সোমবার বিকাল সাড়ে ৫ টায় খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জেলার দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও কেক কাটা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক কামরুজ্জামান জামালের সঞ্চালনায় বক্তৃতা করেন,জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড:সুজিত অধিকারী, সহ-সভাপতি আইনজীবী রবীন্দ্রনাথ মন্ডল, অধ্যক্ষ দেলোয়ারা বেগম, বিএমএ ছালাম,বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শেখ মো. রকিকুল ইসলাম লাবু, শ্রম সম্পাদক মোজাফফর মোল্যা, উপ-দফতর সম্পাদক সাঈয়েদুজ্জামান সম্রাট, নির্বাহী কমিটির সদস্য জামিল খান,জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মানিকউজ্জামান অশোক, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হোসনেয়ারা চম্পা, সাধারণ সম্পাদক নাজনীন নাহার কনা, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইন্জিনিয়ার মাহফুজুর রহমান সোহাগ, যুবলীগ নেতা সর্দার জাকির হোসেন, এবিএম কামরুলইসলাম, দেব দুলাল বাড়ই বাপ্পী, বিধান চন্দ্র রায়, জেলা ছাত্রলীগের , সাধারণ সম্পাদক মো:ইমরান হোসাইন, তানভীর রহমান আকাশ, কাজী নাজিব, চিশতী নাজমুল বাশার সম্রাট, পলাশ রায়, দ্বীপ পান্ডে বিশ্ব প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/কেডি