খুলনা, বাংলাদেশ | ২৫ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৮ মে, ২০২৪

Breaking News

  তেঁতুলিয়ার খয়খাটপাড়া সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
  প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু, চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত

শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার দাবি শিক্ষক-কর্মচারীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের মিথ্যে মামলাসহ অত্যাচার নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।

শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের পক্ষে মোঃ শাহিদুজ্জামান লিখিত বক্তব্যে বলেন, ১৯৯৪ সালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম বাঁশদহে প্রতিষ্ঠিত হয় শহীদ স্মৃতি কলেজ। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সুনাম আর সম্মানের সাথে পায়ে পায়ে এগুতে থাকে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির। কিন্তু ২০১৫ সালে মোঃ ফজলুর রহমান অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্তির পর থেকে ক্রমশ প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে।

অধ্যক্ষের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরোধীতা করায় শিক্ষক-কর্মচারীরা মিথ্যে মামলাসহ অত্যাচার নির্যাতনে দিশেহারা। অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদানের পর থেকে অদ্যাবধি কলেজের অভ্যন্তরীণ অডিটই হয়নি, যা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর মতো। কলেজ উন্নয়নে তার কোনও দৃষ্টি না থাকলেও বৈধ/অবৈধ ভাবে শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগে তার জুড়ি মেলা ভাল।

কলেজের চৌহদ্দি বাড়ানোর কথা বলে জমি ক্রয়ের নামে বার বার নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নিকট থেকে প্রায় ২ কোটি টাকা নিয়েও অদ্যাবধি তা পূরণ হয়নি। নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা তাদের সেই অনুদানের কথা লিখিত আকারে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন। সরকারের শিক্ষা বিভাগের কাছ থেকে বহুতল বিশিষ্ট বিল্ডিং নির্মাণের নামে শিক্ষকদের কাছ থেকে নগদ ৫ লক্ষ টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন। কলেজে তাঁর অনিয়মিত যাতায়াতের কারণে প্রশাসনিক অবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। দিন দিন কলেজে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে, অন্যদিকে রেজুলেশন জালিয়াতি করে (একই রেজুলেশন চারবার পরিবর্তন) অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে শিক্ষকের সংখ্যা বাড়ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘোষিত অবৈধ অধ্যক্ষ হিসেবে চিহ্নিত হলেও স্বৈরতান্ত্রিক ভাবে তিনি সকল কাজ করে যাচ্ছেন।

অধ্যক্ষ ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কার্যক্রম শেষে তার নিয়োগ অবৈধ প্রমাণিত হওয়ায় বিগত ২১/০৩/২০১৭ তারিখে তাকে অবৈধ ঘোষণা করে পত্র জারি হয় এবং অবৈধভাবে উত্তোলিত সমস্ত টাকা ফেরৎ প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে পরিচালনা পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষের আপন ভগ্নিপতি হওয়ায় সেই আদেশ বাস্তবায়িত করেননি বরং তিনি (অধ্যক্ষ) গায়ের জোরে, অবৈধভাবে কলেজের সকল কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছেন। এসব অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে আমরা বিভিন্ন সময়ে কলেজের সাবেক গভর্নিং বডির সভাপতি তার আপন ভগ্নিপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ হোসেন এর কাছে আবেদন করি। কিন্তু তিনি বিষয়টি আমলে নেননি। পরবর্তীতে বর্তমান সভাপতি গোলাম মোরশেদ এর স্মরণাপন্ন হই।

তিনি পদ্মাসেতু উদ্বোধনের পরে এমপি মহোদয়ের সাথে আলোচনাক্রমে সিদ্ধান্ত নিবেন বললেও অদ্যাবধি কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। তাঁর এই অপকর্মকে ধামাচাপা দিতে তিনি অত্যন্ত সুচতুর ভাবে তাঁর দুজন সহকর্মীকে মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন। কারণ সেই দুইজন তার অপকর্মের বিরুদ্ধে সর্বদা স্বোচ্চার। তার বিপক্ষে অবস্থানকারীকে এক এক করে ‘‘দেখে নেবেন’’ বলে হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে আসছেন।

তিনি ওই শিক্ষাদস্যুর হাত থেকে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের রক্ষার দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে কলেজের শিক্ষক ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

খুলনা গেজেট / আ হ আ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!