খুলনা, বাংলাদেশ | ২১ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৪ মে, ২০২৪

Breaking News

  মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
  খুলনাসহ ২৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ আজ বন্ধ
  ব্রাজিলে প্রবল বর্ষণে ৩৯ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৬৮

রূপসায় বিধি-নিষেধ মানছে না কেউ!

সাজ্জাদুল ইসলাম

খুলনায় কঠোর বিধি নিষেধের পঞ্চম দিন চলছে আজ। শহরের তিন থানায় প্রশাসনের নির্দেশনা মান্য করা হলেও উপেক্ষিত রয়েছে রূপসা উপজেলার অধিকাংশ জায়গা। করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রোধে শুক্রবার (৪ জুন) থেকে ১০ জুন পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়। প্রথম দিন থেকেই রূপসা উপজেলায় সে-সকল বিধি নিষেধ মানতে দেখা যায়নি। আজও অনেকটা একই অবস্থা।

জানা যায়, রূপসা কাঁচা বাজারে বেচাকেনা শুরু হয়েছে সকাল নয়টায়, চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। কাঁচা বাজারে সকলকে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক থাকলেও এখানে তা মানছে না কেউই। ক্রেতা-বিক্রেতা কারো মুখেই মাস্ক নেই। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক।

মাস্কবিহীন কাঁচামাল বিক্রেতা সবুর মিয়ার সাথে কথা হয়। তিনি জানান, স্বাভাবিক সময়ের মতই সব কিছু চলছে। সকাল থেকে পাঁচটা পর্যন্ত বাজার চলছে। মুখে মাস্ক না থাকার কারণ জিজ্ঞাসা করলে জানান, গরমের কারণে খুলে রেখেছেন।

বাজারের প্রতিটি দোকানদারের অবস্থা একই রকম, কারো মুখেই মাস্ক নেই। ক্রেতাদের দু’ একজনের মাস্ক থাকলেও সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই।

বিধি নিষেধে কাঁচা-বাজার ও মুদি দোকান ব্যতিত সব দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রূপসায় এ নির্দেশনাও মানা হচ্ছে না। সকাল থেকেই বাজারে কাপড়, কসমেটিকস, বই-পুস্তক, জুতা, স্বর্ণের দোকানসহ অলিগলির চা দোকান গুলো খোলা রয়েছে। স্বাভাবিক সময়ের মতই রাতেই বন্ধ হয় অধিকাংশ দোকান।

ফারিহা জুয়েলার্সের স্বত্তাধিকারী ইলিয়াস শেখ জানান, বিধি নিষেধে দোকান বন্ধ রাখার কোনো নির্দেশনা পাননি তিনি। তবে বেলা পাঁচটার পরে দোকান বন্ধে মাইকিং করা হয়েছিলো। যদিও অধিকাংশই তা মানে না।

এদিকে গণপরিবহনে আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচলের কথা থাকলেও রূপসা বাসস্ট্যান্ডে সেটা মানা হচ্ছে না। প্রতিটি বাসেই আসন পূর্ণ করে বাগেরহাট-পিরোজপুরে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। অধিকাংশ যাত্রী, হেলপার ও চালকের মুখেই মাস্ক নেই।

উল্লেখ্য, খুলনার রূপসা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ১৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গত রবিবার (৬ জুন) নমুনা পরীক্ষায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া তাছনিম, উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম, উপজেলা ভূমি অফিসের প্রধান সহকারী গোলাম মাহমুদ, সার্টিফিকেট সহকারী রেজোয়ানুর রহমান, প্রসেস সার্ভার শ্যামা পদ করোনা পজেটিভ হন।

এর আগে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দিন বাদশা এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনিসুর রহমান করোনা পজেটিভ হন। তারা নিজ নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!