খুলনা, বাংলাদেশ | ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  চাওয়াই নদীতে গোসলে নেমে প্রাণ গেল দুই শিশুর
  গরুবাহী নছিমনের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত
  জামালপুরে ধান মাড়াই করতে গিয়ে তাঁতী লীগ নেতার মৃত্যু
  দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২

রুমাকে বাঁচতে বৃদ্ধ নানি ঘুরছেন দ্বারে দ্বারে

অভয়নগর প্রতিনিধি

দুপুর তখন প্রায় ২টা হবে। রুগ্ন শরীর ময়লা কাপড়ে এক বৃদ্ধ নারী কয়েকটি একশত টাকার নোট এবং ডাক্তারের দেওয়া রোগীর প্রেসক্রিপশন নিয়ে শিল্প শহর নওয়াপাড়ার স্টেশন বাজার এলাকায় বিভিন্ন দোকানে ঘুরছিলেন। ছুটছিলেন এক দোকান থেকে অন্য দোকানে। পাগলপ্রায় ওই বৃদ্ধ নারী এক সময় নওয়াপাড়া বাজার শাখা উত্তরা ব্যাংকের সামনে হাইস্পিড ঘাটে মেসার্স মাহিন এন্টারপ্রাইজের সামনে এসে মাটিতে বসে পড়লেন এবং চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করলেন, আর বলতে থাকলেন আমার নাতিকে তোমরা বাঁচাও।

বৃদ্ধার এ অবস্থা দেখে কাছে এগিয়ে যেয়ে জানতে চাইলে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি জানান, তাঁর নাম রাহেলা বেগম। অভয়নগর উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নে সিদ্ধিপাশা গ্রামে তার বাড়ি। স্বামীর নাম মৃত সেলিম সরদার। আমার মেয়ে লিপি খাতুনের একমাত্র মেয়ে শাহিনা আক্তার রুমা (২০) মারাত্মক অসুস্থ। রুমা আমার নাতি। অল্প কয়েকদিন পূর্বে খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের কার্ডিওলজী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. স্বদেশ কুমার চক্রবর্তী রুমার বুকের বাম পাশের ভাল্ব শুকিয়ে গেছে বলে জানান। দ্রুত সময়ের মধ্যে অপারেশন করাতে না পারলে রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হবে না। অপারেশনের জন্য প্রয়োজন দুই লাখ টাকা।

নানি কেন নাতির জন্য এভাবে টাকা জোগাড়ের চেষ্টা করছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন,  রুমার মা লিপি খাতুন ও  স্বামী আবু বক্কার শেখ শার্শা উপজেলায় আফিল জুট মিলে শ্রমিকের কাজ করে। তাদের নেই কোন সম্পত্তি। জমানো টাকা মেয়ের চিকিৎসায় খরচ হয়ে গেছে।সংসার ও মেয়ের প্রতিদিনের ওষুধের খরচ যোগাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। রুমাকে বাঁচাতে এখন দুই লাখ টাকা প্রয়োজন। সেই টাকার জন্য আমি মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি।

পরে বৃদ্ধা রাহেলা বেগমের দেওয়া রুমার মায়ের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, রুমা সিদ্ধিপাশা আমতলা পিবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণিতে লেখাপড়া করার সময় অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রথমে ঢাকা পরে খুলনায় ডাক্তার দেখানোর পর রুমার ভাল্ব শুকিয়ে যাচ্ছে বলে জানতে পারি। এখন আর ওষুধে কাজ হচ্ছে না। ডাক্তাররা বলেছেন দ্রুত অপারেশন করতে হবে। আমার মেয়ে এখন শুকিয়ে কংকাল হয়ে গেছে। অপারেশনের জন্য আমি ও আমার স্বামী আফিল জুট মিলে অস্থায়ী শ্রমিকের কাজ করছি। আয়ের টাকা সংসার ও  ওষুধে ব্যয় হচ্ছে। দুই লাখ টাকা না হলে অপারেশন হবে না। কোথায় পাবো, কে দিবে এই টাকা?

তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে সমাজের বিত্তবান ও হৃদয়বান মানুষের নিকট একমাত্র মেয়েকে বাঁচানোর জন্য আর্থিক সহযোগিতা চেয়েছেন । যোগাযোগ-লিপি খাতুন- ০১৯১৫-৭০৯২০৪।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!