খুলনা, বাংলাদেশ | ২৩ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৬ মে, ২০২৪

Breaking News

  ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যানসহ স্বতন্ত্র সব পরিচালকের পদত্যাগ
  মিল্টন সমাদ্দারের প্রতারণায় সহযোগী ছিলেন তার স্ত্রী : ডিবি প্রধান
  জনগণের ভরসাস্থল অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন সেনাবাহিনী : প্রধানমন্ত্রী

যশোরে ব্যাংক এশিয়ার ৪১ লাখ টাকা আত্মসাতকারীসহ গ্রেপ্তার ৭

যশোর প্রতিনিধি

যশোরের বাঘারপাড়া অঞ্চলের গ্রাহকের ৪১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংক এশিয়ার আলোচিত এজেন্ট ব্যাংকিং পরিচালক আনোয়ার জাহিদসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। পুলিশ গত দু’দিন ধরে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। এসময় নগদ ৩০ হাজার টাকা ও ২৭টি নকল আমানত জমা বই উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, বাঘারপাড়া উপজেলার হালদা গ্রামের মৃত জিন্দার আলী মোল্লার ছেলে এজেন্ট পরিচালক আনোয়ার জাহিদ, তার ভাই মাজেদ মোল্লা ও আব্দুল আজিজ মোল্লা, খাজুরা বাজারেরর মাওলানা সোলায়মানের জামাই মুশফিকুর রহমান রতন, সদর উপজেলার বানিয়াবহু পশ্চিমপাড়ার মৃত আব্দুল হোসেনের ছেলে শাহিন হোসেন, শার্শা উপজেলার মহিষাডাঙ্গা মাঝেরপাড়ার মৃত আয়না ঢালীর ছেলে রজ্জত আলী ও শিকড়ি পশ্চিমপাড়ার রবিউল ইসলামের ছেলে ইমানুর রহমান।

ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৌমেন দাশ জানান, গত মঙ্গলবার রাত দশটা থেকে বুধবার সকাল সাড়ে নয়টা পর্যন্ত বাঘারপাড়া উপজেলার খাজুরা বাজার, হালদা, শার্শা উপজেলার বেনাপোল ও ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ত্রিলোচনপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে আনোয়ার জাহিদ, মুশফিকুর রহমান রতন, মাজেদ মোল্লা এবং আব্দুল আজিজ মোল্লা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। মুশফিকুর রহমানের কাছ থেকে নগদ ৩০ হাজার টাকা ও ২৭টি নকল আমানত জমা বই উদ্ধার করা হয়। গ্রাহকের এই নকল আমানত জমা বই প্রধান আসামি আনোয়ার জাহিদ তৈরি করে তা বিতরণ করতেন।

তিনি আরও জানান, টাকা আত্মসাতের পর আনোয়ার জাহিদ অবৈধ পথে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে গিয়েছিলেন। পরে চৌগাছা সীমান্ত দিয়ে দেশে ঢুকে কালীগঞ্জের ত্রিলোচনপুরে গিয়ে আত্মগোপন করেন। তাকে অবৈধ পথে ভারতে পালিয়ে যেতে সহায়তার অভিযোগে শাহিন হোসেন, রজ্জত আলী ও ইমানুর রহমানকে আটক করা হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই আরিফুল ইসলাম জানান, আটক সাতজনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে আনোয়ার জাহিদ ও মুশফিকুর রহমান রতনকে সাত দিনের পুলিশি রিমান্ডের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহাদী হাসান তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বাঘারপাড়ার চতুরবাড়িয়া এলাকার গ্রাহকদের ৪১ লাখ ৬০০ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগে আটজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের যশোর ডিভিশনের রিলেশনশিপ অফিসার লিকো আহম্মেদ। এরপর মামলাটির তদন্তভার দেয়া হয় ডিবি পুলিশের ওপর। এরই প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের ৭ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে।

 

খুলনা গেজেট/এমএইচবি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!