খুলনা, বাংলাদেশ | ২৩ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৬ মে, ২০২৪

Breaking News

  রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ২

যশোরে চেয়ারম্যানের গোডাউন থেকে সরকারি সার উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোর সদরের ফতেপুর ইউপি চেয়াম্যান সোহরাব হোসেনের গোডাউন থেকে ২০ বস্তা বিএডিসির সরকারি এমওপি সার উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সকালে সহকারী কমিশনার (ভুমি) মাহামুদুল হাসান চেয়ারম্যানের গোডাউনে অভিযান চালিয়ে এ সার জব্দ করেন।

এদিকে, চেয়ারম্যানের ছেলে সোহেল উদ্ধার হওয়া সার বৈধ দাবি করে একটি ক্যাশমেমো প্রদান করেছেন। যা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। কিন্তু কোন দোকান থেকে এসব সার কেনা হয়েছে তার নাম জানাননি কৃষি কর্মকর্তা হাসান আলী। বিষয়টি নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয়দের মাঝে।

সহকারী কমিশনার (ভুমি) মাহামুদুল হাসান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার নেতৃত্বে একটি টিম ঝুমঝুমপুর বাজারে অভিযান চালান। এসময় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেনের সারের গোডাউন থেকে ২০ বস্তা এমওপি সার উদ্ধার করা হয়। যা বিএডিসির সরকারি সার বলে অভিযানিক দল নিশ্চিত হন। পরে চেয়ারম্যানের ছেলে সোহেল একটি ক্যাশমেমো দেখিয়ে বলেন, ওই সার তাদের কেনা। যা যাচাই বাছাই চলছে।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান আলী বিষয়টি নিয়ে সরেজমিনে অনুসন্ধান করতে মাঠে নেমেছেন। যদি এ সারের বৈধতা না পাওয়া যায়, তাহলে এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, এরআগে রোববার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চেয়ারম্যান সোহরাবের গোডাউন থেকে ২০ বস্তা সরকারি এমওপি সার হামিদপুর বাজারের নয়ন এন্টারপ্রাইজে আনেন নসিমন চালক সাইফার আলী। সার, সিমেন্ট ও কীটনাশক বিক্রেতা শাহাব উদ্দিন আহম্মেদের কাছে তা বিক্রি করার অভিযোগে স্থানীয়রা তাকে ২০ বস্তা সারসহ হাতেনাতে ধরেন। এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশকে খবর দিয়ে তাদের হাতে সোপর্দ করে।

রাতেই সহকারী কমিশনার (ভুমি) মাহামুদুল হাসান ঘটনাস্থলে হাজির হন। পরে চেয়ারম্যানের ঝুমঝুমপুরের গোডাউনে অভিযান চালান। সেসময় কাউকে না পেয়ে গোডাউন তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। এদিন সকালে ঝুমঝুমপুরের সেই গোডাউন থেকে আরও ২০ বস্তা সার উদ্ধার করা হয়।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেনের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে সকাল থেকেই উত্তেজিত জনগন পুরো এলাকায় অবস্থান করছে। তারা বলছে শুধু সার চুরিই নয়, চেয়ারম্যান দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই নানা ধরণের অনিয়মের সাথে জড়িত। তিনি টাকা ছাড়া কিছুই চেনেন না। একই সাথে এসব বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয়রা।

তারা বলছেন, একটি মহল বিষয়টি ধামাচাপা দিতে পায়তারা চালাচ্ছে। মূল ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতে একটি ক্যাশমেমো ব্যবহার করা হচ্ছে।

খুলনা গেজেট/ এএজে

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!