যশোর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান বাবুলের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে জেলা আইনজীবী সমিতি। এ সমাবেশ থেকে জড়িতদের আটকে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। অন্যথায় বৃহৎ কর্মসূচির হুশিয়ারি দিয়েছেন আইনজীবীরা। বুধবার(১ জুন) সকাল সাড়ে নয়টায় জেলা আইনজীবী সমিতির ১নং ভবনের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি শরীফ নুর মোহাম্মদ আলী রেজার সভাপত্বিত্বে সমাবেশ পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শাহানুর আলম শাহীন। সভায় বক্তব্য রাখেন পিপি এম ইদ্রিস আলী, স্পেশাল পিপি মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল, সাবেক পিপি রফিকুল ইসলাম পিটু, সাবেক সভাপতি কাজী ফরিদুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু মোর্তজা ছোট, এম এ গফুর, সিনিয়র আইনজীবী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী রায়হান, মাহাবুব আলম বাচ্চু, আর এম মঈনুল হক ময়না, সাবেক জিপি সোহেল শামীম প্রমুখ।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, অ্যাড. বাবুল শুধু একজন জনপ্রতিনিধি কিংবা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন। তিনি একজন পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) হিসেবে প্রশাসনের প্রতিনিধি। অথচ ঘটনার দু’দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি, কেউ আটক হয়নি, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। নেতৃবৃন্দ প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা আইনজীবীদের রাজপথে নামতে বাধ্য করবেন না। আগামি ৪৮ ঘন্টার মধ্যে জড়িতদের আটক করতে হবে। অন্যথায় জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন স্পেশাল পিপি সাজ্জাদ মোস্তফা রাজা, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-১ এর পিপি সেতারা খাতুন, দুদকের পিপি আশরাফুল আলম বিপ্লব, সাবেক স্পেশাল পিপি বদরুজ্জামান পলাশ, সাইফুল করিম মুকুল, খোন্দকার মোয়াজ্জাম হোসেন মুকুল, জুলফিকার আলী জুলু, আব্দুল মজিদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত সোমবার রাত আটটার দিকে যশোর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান বাবুলকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে জখম করে। শহরের নাজির শংকরপুর জিরো পয়েন্ট মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
